ধৃত চার জন। নিজস্ব চিত্র
আন্তঃরাজ্য বাইক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই চারজনকে রবিবার সন্ধ্যায় ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কর কাছে মাগুরিয়া এলাকা থেকে সন্দীপ সহিস, নীলকণ্ঠ সহিস, দীনেশ সহিস এবং মিঠুন কুমার নামে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম তিনজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয়। চতুর্থজন বিহারের বাঁঙ্কা জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত দুই মাসে পুরুলিয়া শহরে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক চুরির ঘটনা ঘটে। একাধিক অভিযোগও জমা পড়ে পুরুলিয়া সদর থানায়। ওই এলাকার বিভিন্ন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে সন্দেহভাজন কয়েকজন যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের কেউ-ই পুরুলিয়ার বাসিন্দা না হওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, বাইকচুরির নেপথ্যে রয়েছে আন্তঃরাজ্য পাচারচক্র।
অপরাধ দমনে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী থানাগুলির মধ্যে মাঝেমধ্যেই সমন্বয় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি বৈঠকে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে সন্দেহভাজন ওই যুবকদের ছবি দেখানো হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। রবিবার পুলিশ জানতে পারে সন্ধ্যায় ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন মাগুরিয়া হয়ে পুরুলিয়া ঢুকবে বাইক পাচারকারী।
রবিবার বিকেল থেকেই মাগুরিয়া এলাকায় ওঁত পেতে ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দু’টি বাইকে চেপে চার যুবককে ওই এলাকায় ঢুকতে দেখে তাদের আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাইকে নম্বরপ্লেট ছিল না। ওই চারজনের থেকে ৬টি বাইকের চাবি উদ্ধার হয়। পুলিশের সন্দেহ, ওই চাবিগুলি দিয়ে বাইক খোলার পর সেগুলি নিয়ে চম্পট দিন পাচারকারীরা।
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুরুলিয়া শহর থেকে বেশ কয়েকটি বাইক চুরির কথা ধৃতরা স্বীকার করেছে। সোমবার তাদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক সন্দীপকে ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে স্থানীয় কারও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy