উচ্চ মাধ্যমিকের অঙ্ক, ইতিহাস পরীক্ষার সময়ে এই সভা ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
মঙ্গলবার, উচ্চ মাধ্যমিকের অঙ্ক-ইতিহাস পরীক্ষার সময়ে ইলামবাজারে রাইস মিল ময়দানে সাউন্ড-বক্স বাজিয়ে সভা করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। সভাস্থলের ৫০০ মিটারের মধ্যেই পড়ে বলাইকৃষ্ণ রায় স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় এবং আর কিছুটা এগোলেই থানার কাছে রয়েছে ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল দু’টি এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের কেন্দ্রও। প্রকাশ্যে কেউ অভিযোগ না করলেও সাউন্ড-বক্সের আওয়াজে অসুবিধে হয়েছে বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
বক্স বাজিয়ে সভা করাকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ ও ‘অন্যায়’ বলে মনে করছেন বিজেপি, সিপিএমের মতো বিরোধী দলের নেতারা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোমের মতে, ‘‘পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজানো খুবই অন্যায়। প্রশাসনের দেখা উচিত।’’ জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের আবার অভিযোগ, ‘‘পরীক্ষার অজুহাতে আমাদের মোটরবাইক মিছিলের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। সেখানে অনুব্রত মণ্ডল পরীক্ষার মধ্যেই মাইক বাজিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো সভা করলেন। এ বেলায় নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে প্রশাসন।’’
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘কোনও জায়গায় মাইক নেই। সব জায়গায় বক্স বাজিয়ে কর্মী সম্মেলন করা হয়। আমরা চারদিক ঘিরেই সম্মেলন করেছি।’’
২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত। পরীক্ষা চলছে সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। সেই সময়ের মধ্যে সভাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন তখন পুরোদমে চলছে। বাজছে সাউন্ড-বক্সও। সিপিএম, বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা এতটুকু না ভেবেই সভা হয়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য মাথার উপরের ছাউনিটুকু ছাড়া চারিদিক ঘেরা পর্যন্ত হয়নি। সভামঞ্চ থেকে শেষ পর্যন্ত চারটি চোঙা মাইক লাগানো হয়েছিল। একাধিক বক্স বাজিয়ে সভার কাজ চালানো হয়।
তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লকের সভাপতি ফজলুর রহমানের দাবি, সভা করার জন্য থানায় অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। সম্মতি পেয়ে সভার আয়োজন করা হয়। কী করে পরীক্ষার মধ্যে মাইক বাজিয়ে সভার অনুমতি দেওয়া হল?
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, মাইক বাজিয়ে সভার অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এক পুলিশ-কর্তার কথায়, ‘‘যেহেতু ঘেরাটোপে সভা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল, তাই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’ বোলপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ‘‘এ সময় মাইক বাজানো যায় না। তবে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy