Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
গঙ্গাজলঘাটি

কর্মবিরতি মেজিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে, প্রশাসনের ডাকে বৈঠক

মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট আটটি ইউনিট থেকে দৈনিক প্রায় ২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা 
গঙ্গাজলঘাটি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

সবেতন ছুটি, অতিরিক্ত শ্রম ও রাতের ডিউটিতে বাড়তি পারিশ্রমিক-সহ নানা দাবি নিয়ে গত মার্চেই আন্দোলনের পথে নেমেছিলেন বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকা শ্রমিকেরা। দাবি মিটবে আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত রাখেন তাঁরা। তবে সাত মাস পেরোলেও দাবিদাওয়া এখনও মেটেনি। তাই শুক্রবার অরাজনৈতিক ভাবে ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটলেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার ঠিকা শ্রমিক। জট কাটাতে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আসানসোলের শ্রম দফতরের অফিসে আলোচনায় বসেন। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট আটটি ইউনিট থেকে দৈনিক প্রায় ২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। কর্মী-সঙ্কটের জেরে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতির উপরে আমাদের নজর রয়েছে। আমি আগেই শ্রমিকদের সঙ্গে দাবিদাওয়ার বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। পুজোর মুখে এমন সমস্যা তৈরি হওয়া মোটেও কাম্য ছিল না।”

মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম (প্রশাসন) প্রবীরকুমার চাঁদ বলেন, “ঠিকা শ্রমিকেরা এ দিন কাজে না লাগলেও উৎপাদনে প্রভাব পড়েনি। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তা জেনেই পদক্ষেপ করা হবে।”

আন্দোলনকারী শ্রমিকদের মধ্যে শান্তিময় দাস, গৌর কুণ্ডু, উজ্বল ঢাং বলেন, “আমাদের ন্যায্য প্রাপ্যই দাবি করেছি। এই সব সুবিধা আগে আমরা পেতাম। গত কয়েকবছর সেগুলি তুলে দিয়ে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।”

তাঁদের দাবি, মার্চে শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তারা দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কাজ না হওয়ায় অগস্টে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। তখন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তারা ফের দাবি মেটানোর আশ্বাস দেন। অথচ, কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের বার বার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। তাই এ বার দাবি না মেটানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম (প্রশাসন) প্রবীরকুমার চাঁদ বলেন, “শ্রমিকদের দাবিদাওয়াগুলি মেটানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সদর দফতরে কর্মী কম। তাই একটু সময় লাগছে।”

ঠিকা শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে দিকে তাকিয়ে তাঁরাও। ওই সিদ্ধান্তের উপরেই তাঁরা ভবিষ্যতের কর্মপন্থা তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE