সন্তোষী বাউড়ি।
দু’দিন ধরে নিঁখোজ থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল মঙ্গলবার, রামবনি গ্রামের প্রান্তে জঙ্গলের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে। ওই ঘটনায় মৃতার মামার দায়ের করা খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মনীশ ওরফে কম্পাউন্ডার সিং সর্দার। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জঙ্গলের পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল রামবনি গ্রামের বছর উনিশের সন্তোষী বাউড়ির দেহ। কাশীপুর জেকেএম গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সন্তোষী এ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে যাওয়া মহিলারাই পোড়ো ঘরে তার দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষক্রিয়ায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে মৃতার মামা সঞ্জয় বাউড়ি গ্রামেরই যুবক মনীশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর পরে খুব ছোট বয়স থেকেই আমাদের বাড়িতে বড় হয়েছিল সন্তোষী। কয়েক বছর আগে ওর সঙ্গে মনীশের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’’ তাঁর দাবি, মনীশ অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে ফেলে। সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়।
সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘সন্তোষী বিয়ে ভেঙে দিতে বলেছিল মনীষকে। কিন্তু ও রাজী হয়নি। বিয়েতে বাগড়া দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, ৩ মার্চ মনীশ ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকেছিলেন সন্তোষীকে। তার পরেই আর খোঁজ মিলছিল না ওই তরুণীর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত, মনীশই খুন করেছে।”
তবে অভিযোগ মানতে চাননি ওই মনীশ। তাঁর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy