Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকৃতিকে বাঁচাতে তিন রাজ্যে হাঁটতে বেরোলেন যুবক

ছোটনাগপুর মালভূমির প্রকৃতি সংরক্ষণের বার্তা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে পদযাত্রা শুরু করলেন বাঁকুড়া শহরের এক যুবক। শুক্রবার অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে বাঘমুণ্ডির মাঠা রেঞ্জ অফিস থেকে রানাপ্রতাপ দে নামে ওই যুবক হাঁটা শুরু করেন।

যাত্রা শুরু রাণার (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

যাত্রা শুরু রাণার (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৮
Share: Save:

ছোটনাগপুর মালভূমির প্রকৃতি সংরক্ষণের বার্তা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে পদযাত্রা শুরু করলেন বাঁকুড়া শহরের এক যুবক। শুক্রবার অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে বাঘমুণ্ডির মাঠা রেঞ্জ অফিস থেকে রানাপ্রতাপ দে নামে ওই যুবক হাঁটা শুরু করেন। তিনি জানান, বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার ছোটনাগপুর মালভূমি বলে পরিচিত এলাকার বিভিন্ন জনপদের ৯০০ কিলোমিটারের বেশি তিনি হেঁটে পাড়ি দেবেন।

বাঁকুড়ার পাঠকপাড়ার বাসিন্দা রানাপ্রতাপের নেশা পাহাড়-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো। সেই নেশা থেকেই ওই যুবক প্রকৃতি সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে পথে নেমেছেন। তিনি জানান, সান্দাকফু, উত্তর সিকিম, ইয়ুমথাং, গ্রিনলেক প্রভৃতি উত্তরের পাহাড়ি পথ পেরিয়ে এ বার তাঁর গন্তব্য পশ্চিমের মালভূমি। এ দিন রওনা হওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃতি সংরক্ষণের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে আমরা জঙ্গল ও জনজাতি সম্পর্কে আমার আগ্রহ রয়েছে। তা ক্যামেরায় ধরে রাখব।’’

প্রথম দিনেই তিনি মাঠা থেকে বেরিয়ে অযোধ্যা পাহাড় হয়ে মুরগুমা ছুঁয়ে ঝালদায় পৌঁছন। রানাপ্রতাপের কথায়, ‘‘বোকারো জেলা, ধানবাদ, ঝরিয়া, রাঁচী, নেতারহাট, গুমলা ছুঁয়ে ওড়িশার বড়বিল ঘুরে চাঁইবাসা যাব। সেখান থেকে দলমা রেঞ্জ পার হয়ে ঘাটশিলায় ঢুকব। ঘাটশিলা ঘুরে মুকুটমণিপুরে শেষ হবে আমার অভিযান।’’

কিছুটা পথ তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন বাঘমুণ্ডির মুদিডি গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস ওঁরাও। তিনি বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার পড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘‘রানাদার সঙ্গে অনেকদিনের পরিচয়। অভিযানের কথা শুনে ঠিক করেছিলাম, আমিও তাঁকে সঙ্গ দেব।’’

অভিযানে রানাপ্রতাপের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবুজরক্ষা ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় কাজ করা একটি সংগঠনের সদস্যেরা। এই সংগঠনের তরফে অনির্বাণ পাত্র বলেন, ‘‘পুরো পথ পরিক্রমা করতে দু’মাস লাগবে। আমরা তাঁকে মাঝে মধ্যে সঙ্গ দেব। যে কোনও প্রয়োজনে তাঁর পাশে থাকব। প্রশাসনও সঙ্গে রয়েছে।’’

প্রথম দিন কেমন অভিজ্ঞতা হল? রানাপ্রতাপের কথায়, ‘‘মাঠা থেকে অভিযান শুরু করতে গিয়ে দেখি একটা জায়গায় প্রচুর প্লাস্টিক ছড়িয়ে রয়েছে। শুনলাম মকর সংক্রান্তির পরে এখানে মেলা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরে প্লাস্টিক আর পরিষ্কার করা হয়নি। দূষণ বন্ধ করতে সবাইকে অনুরোধ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nature
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE