Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Blood Donation

অচেনা বোনকে রক্ত দিয়ে রাখি বাঁধল ভাই

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘি-দহ গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বিবি সোমবার তার ১০ বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মেয়ে নৈমা খাতুনকে নিয়ে ‘ও পজেটিভ’ রক্তের জন্য বোলপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে আসেন।

নৈমা খাতুন (উপরে)। রক্তদাতা অতনু। নিজস্ব চিত্র

নৈমা খাতুন (উপরে)। রক্তদাতা অতনু। নিজস্ব চিত্র

বাসুদেব ঘোষ
বোলপুর শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০০:৫৫
Share: Save:

রাখিবন্ধন উৎসবের দিনেই বোনকে রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন এক দাদা। সোমবার এমন ঘটনার সাক্ষী রইল বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘি-দহ গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বিবি সোমবার তার ১০ বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মেয়ে নৈমা খাতুনকে নিয়ে ‘ও পজেটিভ’ রক্তের জন্য বোলপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে আসেন। কিন্তু, লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ববিধির কারণে জেলায় সেই ভাবে এখনও রক্তদান শিবিরের আয়োজন শুরু হয়নি। ব্লাড ব্যাঙ্কও ছিল না ও পজেটিভ রক্ত। বিপাকে পরে রোগীর পরিবার গ্রামের এক ছেলের মারফত যোগাযোগ করেন গৃহশিক্ষক শ্যামল মাজির সঙ্গে। এরপরই শ্যামলবাবু তাঁর প্রাক্তন ছাত্র অতনু ঘোষকে রক্ত দেওয়ার অনুরোধ করেন।

আর দেরি করেননি কসবা গ্রামের বাসিন্দা বছর বাইশের অতনু। নিজেই মোটরবাইকে কসবা থেকে রক্ত দিয়ে ছুটে আসেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সময়মতো রক্তের জোগান মেলায় ওই কিশোরীরও কোনও সমস্যা হয়নি। এখন অনেকেই হাসপাতালমুখো হতে চাইছেন না। সেখানে নিজের রক্ত দিয়ে ওই কিশোরীর পাশে দাঁড়ানোকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। এমন ঘটনায় হাসপাতাল কর্মী থেকে শুরু করে ওই পরিবারের সকলেই তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। কিশোরীর মা ফিরোজা বিবি বলেন, ‘‘শিক্ষক শ্যামল মাজির তৎপরতায় অতনু আমার পরিবারকে চিন্তামুক্ত করেছে। ওর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’’ আর অতনু বলছে, ‘‘আমার নিজের বোন থাকলেও ওর পাশে থাকতাম। তেমনই আর এক বোনের পাশে থেকেছি। শেষে বোনের হাতে রাখি বেঁধেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Blood Donation Raksha bandhan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE