Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

একই রাতে হানা দুই স্কুলে, চুরি গেল কম্পিউটার ও টাকা

এক রাতে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার দু’টি হাইস্কুলে চুরির ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সকালে রাজগ্রাম শশীভূষণ রাহা ইনস্টিটিউশনের কম্পিউটার রুমে সুভাষতন্দ্র বসুর ছবি আনতে গিয়ে ওই স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেখেন, ঘরের তালা ভাঙা। ভিতরে একটি কম্পিউটারও নেই। তিনি প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে হইচই শুরু হয়। একই ঘটনা ঘটেছে ওই স্কুল থেকে চার কিলোমিটার দূরে জয়পুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে।

চুরির পরে। বাঁকুড়ার জয়পুর বালিকা বিদ্যালয়ে।—নিজস্ব চিত্র।

চুরির পরে। বাঁকুড়ার জয়পুর বালিকা বিদ্যালয়ে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২৮
Share: Save:

এক রাতে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার দু’টি হাইস্কুলে চুরির ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সকালে রাজগ্রাম শশীভূষণ রাহা ইনস্টিটিউশনের কম্পিউটার রুমে সুভাষতন্দ্র বসুর ছবি আনতে গিয়ে ওই স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেখেন, ঘরের তালা ভাঙা। ভিতরে একটি কম্পিউটারও নেই। তিনি প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে হইচই শুরু হয়। একই ঘটনা ঘটেছে ওই স্কুল থেকে চার কিলোমিটার দূরে জয়পুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে কম্পিউটার ছাড়াও স্কুলের অফিস রুমের দরজা ও আলমারি ভেঙে চোরেরা নিয়ে পালিয়েছে নগদ টাকাও।

শুধু বাঁকুড়া নয়, সম্প্রতি স্কুলের তালা ভেঙে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে বীরভূম ও মালদহেও। বীরভূমে এক মাসের মধ্যে গোটা পাঁচেক স্কুলে একই কায়দায় চুরি হয়েছে। রাজগ্রাম শশীভূষণ রাহা ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার সামন্ত বলেন, “এ দিন স্কুলে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে ছবিতে মাল্যদানের অনুষ্ঠান ছিল। কম্পিউটার রুমেই থাকত ছবিটি। সেটা আনতে গিয়েই চুরির ঘটনা ধরা পড়ে।” তিনি জানান, কর্মীর মুখ থেকে খবর শুনেই তিনি ভিতরে গিয়ে দেখেন, ১০টি কম্পিউটারের একটিও নেই! প্রোজেক্টর এবং সেটির আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রও খোওয়া গিয়েচে। যার দাম অন্তত ৩ লক্ষ টাকা। জয়পুর থানায় এবং বিডিওকে লিখিত ভাবে ঘটনার কথা জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

প্রায় একই অভিজ্ঞতা জয়পুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বনানী ভূষণের। তাঁর কথায়, “প্রথমে গ্রিল ও পরে কাঠের দরজার তালা ভেঙে অফিস ঘরে ঢুকে একমাত্র কম্পিউটারটি নিয়ে পালিয়েছে চোরের দল। সেই সঙ্গে স্কুলের সব ক’টি আলমারি ভেঙে নগদ প্রায় কুড়ি হাজার টাকাও তারা লুঠ করেছে। সরস্বতী পুজো-সহ নানা খাতের টাকা ছিল আলমারিতে। সবই নিয়ে পালিয়েছে। খুব সমস্যায় পড়েছি আমরা।” বনানীদেবী জানান, এই স্কুল নতুন হওয়ায় একনও নৈশরক্ষী নিয়োগ করা যায়নি। রাজগ্রাম স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোকবাবুর অবশ্য দাবি, “আমাদের স্কুলে নৈশরক্ষী থাকলেও তিনি চুরির বিষয়টি টের পাননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

school computer theft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE