Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ছিনতাইয়ের সময়ে অস্ত্রের ঘায়ে মৃত্যু

ছিনতাই করার পরে পথচারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ পুরুলিয়ার ঝালদা থানা এলাকার ঝালদা-গোপালপুর রাস্তায় শালদহ নদীর কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ রব্বুল (৩০)। তার বাড়ি ঝালদা থানার হুসেনডি গ্রামে। মৃতের পরিবারের দাবি, গণপিটুনিতেই মারা গিয়েছে রব্বুল। যদিও পুলিশ সেই দাবি মানতে নারাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২৭
Share: Save:

ছিনতাই করার পরে পথচারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ পুরুলিয়ার ঝালদা থানা এলাকার ঝালদা-গোপালপুর রাস্তায় শালদহ নদীর কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ রব্বুল (৩০)। তার বাড়ি ঝালদা থানার হুসেনডি গ্রামে। মৃতের পরিবারের দাবি, গণপিটুনিতেই মারা গিয়েছে রব্বুল। যদিও পুলিশ সেই দাবি মানতে নারাজ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের দুই বাসিন্দাঝালদা থেকে ওই রাস্তা ধরে গ্রামে ফিরছিলেন। তাঁদের এক জন ঝালদায় একটি দর্জির দোকান চালান। তিনি ও তাঁর ছেলে একই সাইকেলে ফিরছিলেন। অভিযোগ, শালদহ নদীর উপর একটি ছোট কালভার্টের কাছে রব্বুল তাঁদের পথ আটকায়। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে বাবা-ছেলের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দর্জির দোকান চালানো ব্যক্তির ছেলের চিত্‌কারে আরও কয়েক জন হাজির হন। আহত অবস্থায় রব্বুল ও এক পথচারীকেও ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পথচারীকে প্রাথমিক চিকিত্‌সার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও রব্বুলের শরীরে একাধিক ক্ষত থাকায় তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, রব্বুলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে আগেও একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের খাতায় সে ‘ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’। যদিও রব্বুলের বাবা শেখ এজহারের দাবি, “আমার ছেলে কোনও অপরাধেই জড়িত নয়। পুলিশ ওর নামে মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছে। বাড়ি ফেরার পথে আমার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। কী ভাবে তাকে খুন করা হল, আমরা তার তদন্ত চাই।”

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় লখিরাম গরাঁই নামে এক পথচারীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, সে পরিচিত অপরাধী। ছিনতাই করার সময় ওই দুষ্কৃতী যাঁদের আটকেছিল, তাঁদের সঙ্গেই তার ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় ওই যুবক তার নিজের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্রে নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ওই যুবককে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরে সে নিজে সে কথা জানিয়েওছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jhalda snatching death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE