Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেন দেরি করায় অবরোধ সাধীনপুরে

সময় মতো ট্রেন না চলাচল করে না। ফলে অফিস, স্কুল, ব্যবসা সংক্রান্ত বা জরুরি কাজে বেরিয়েও ঠিক সময়ে কাজের জায়গায় পৌঁছনো যায় না। নিত্যদিনের এই সমস্যা রামপুরহাট রেলের। বুধবারও ফের একই সমস্যায় পড়ার জন্য সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইনে বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনযাত্রীদের একাংশ সাধীনপুর স্টেশনে অবরোধ করেন।

বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫৮
Share: Save:

সময় মতো ট্রেন না চলাচল করে না। ফলে অফিস, স্কুল, ব্যবসা সংক্রান্ত বা জরুরি কাজে বেরিয়েও ঠিক সময়ে কাজের জায়গায় পৌঁছনো যায় না। নিত্যদিনের এই সমস্যা রামপুরহাট রেলের। বুধবারও ফের একই সমস্যায় পড়ার জন্য সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইনে বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনযাত্রীদের একাংশ সাধীনপুর স্টেশনে অবরোধ করেন। দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধ করার জন্য আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। দূরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে রেল পুলিশ এবং রেলেওয়ে নিরাপত্তা পুলিশের হস্তক্ষেপে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। যাত্রী বিক্ষোভের জেরে বিশৃঙ্খলা হতে পারে এই আশঙ্কায় রামপুরহাট পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়।

বর্ধমান-বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে প্রায় দিন চলে না। এর আগেও মাস পাঁচেক আগে রামপুরহাট স্টেশনে নির্ধারিত সময় ৯টা ১০-এর পরিবর্তে আধ ঘণ্টা দেরিতে আসার জন্য অবরোধ হয়েছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, সেই সময় রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ট্রেনটি সময় মতো চলাচলের জন্য যাত্রীরা লিখিত দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ঠিক থাকার পর আবার যে কে সেই। যাত্রীরা জানালেন, ওই ট্রেনে করে বর্ধমান থেকে নলহাটি, মুরারই, রাজগ্রাম এমনকী ঝাড়খণ্ডের পাকুড় পর্যন্ত নিত্যযাত্রীরা যাতায়াত করেন। ট্রেনটি প্রায় দিনই দেরি করার জন্য অফিসযাত্রী থেকে স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য কাজে যাওয়া যাত্রীরা ঠিক মতো কাজের জায়গায় পৌঁছতে পারছেন না। এর ফলে তাঁদের কাজের জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে।

এ দিনের ঘটনা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এ দিনও রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেনটি পনেরো মিনিট দেরিতে পৌঁছায়। এর পরেও ট্রেনটি রামপুরহাট স্টেশন ছাড়ার পর পরের স্টেশন সাধীনপুর ঢোকার আগে দাঁড়িয়ে থাকে। ট্রেনটি সাধীনপুর স্টেশনে পৌঁছয় নির্ধারিত সময় ৯টা ২৩ মিনিটের পরিবর্তে ৯টা ৫৬ মিনিটে। তার পরেও মাইকে ঘোষণা হয় রেললাইনে ফাটল থাকার জন্য ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে। এর পরেই যাত্রীদের একাংশ স্টেশন ম্যানেজারকে ট্রেন সময়মতো চলার জন্য দাবি জানাতে থাকেন। সেই সময় স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে বসে থাকা কিছু বহিরাগত লোকজন যাত্রীদের মারধর করতে থাকেন বলে অভিযোগ। এর পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা রেল লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

স্বাধীনপুর স্টেশন ম্যানেজার নিমুয়েল টুডু বলেন, “স্টেশন চত্বরে কী হয়েছে আমি জানি না। আমার অফিস ঘরে কিছু হয়নি। বারহারোয়াগামী ট্রেনটি সাধীনপুর স্টেশনে ঢোকার পর সিগন্যাল অফিস থেকে জানানো হয় আপ লাইনের ৫৭ নম্বর পয়েন্টে রেললাইনে ফাটল থাকার জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। মাইকে সে কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যাত্রীরা ট্রেনটি সময় মতো চলার জন্য দাবি জানাতে থাকেন। বিক্ষোভ দেখান। লাইন মেরামতির পর রেলপুলিশ এবং রেলের অন্য আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে যাত্রী বিক্ষোভ উঠে যায়।” বিক্ষোভের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, বালুরঘাট-কলকাতা এক্সপ্রেস, গণদেবতা এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। দেরিতে ওই ট্রেনগুলি গন্তব্যে দিকে রওনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

train delay rampurhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE