সংঘর্ষের পরে। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল সিউড়ি ২ ব্লকের বিদায়পুর গ্রামে। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, আগে আমরা তৃণমূল করতাম। বেশ কিছুদিন হল আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। তারপর থেকেই তৃণমূলের লোকজন আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিত। বৃহস্পতিবার আমরা কিছু বিজেপি সমর্থক মিলে গ্রামের কাছেই পিকনিক করছিলাম এবং বিজেপির পতাকাও তোলা হয়। তখনও অনেকে খেতে বাকি ছিলেন। এমন সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমদেরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদেরকেই প্রথম আক্রমণ করেছে। পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় ঝামেলা বেশিদূর এগোয়নি।
বিজেপির জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল বলেন, “বিকেল তিনটে নাগাদ তৃণমূলের বহিরাগত লোকজনেরা বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পিকনিক করতে আসা বিজেপি কর্মীদেরকে আক্রমণ করে। আমাদের লোকজনেরা রুখে দাঁড়ালে তারা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে বোমা ফাটাতে ফাটাতে পালিয়ে যায়। সে সময় আমাদের সমর্থকেরা ওই দুষ্কৃতীদের একজনকে ধরে ফেলে এবং পরে পুলিশ এলে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়। পুলিশকে বলেছি যে কোনও সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ফের ওই গ্রামের বিজেপি কর্মীদেরকে আক্রমণ করতে পারে। বিষয়টি যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।” অন্য দিকে, তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “একেবারে মিথ্যা অভিযোগ। ওই গ্রামে এ দিন একটি মেলা হয়। ওই মেলায় বিজেপির কিছু ছেলে জুয়া খেলা বসানোর চেষ্টা করছিল। আমাদের ছেলেরা আপত্তি জানায়। তাতেই ওরা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের ছেলেদেরকে মারধর করে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” পুলিশ জানায়, শেখ ইনসান নামে এক তৃণমূল সমর্থককে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট চলছে। অন্য দিকে, এ দিনই মহম্মদবাজারের দ্বারবাসিনীতে মেলা প্রাঙ্গণে ঢোকার আগেই বিজেপি তরফে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। ওই মঞ্চ থেকেই মাইকে করে সদস্য সংগ্রহ ও দলের প্রচার করা হয়। দলের মহম্মদবাজার ব্লক সভাপতি দীনবন্ধু কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রনিজত্ গড়াই বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। দলের সংগঠন বাড়াতে এবং তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে সাধারণ মানুষের এই মেলাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy