বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নকশা উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ দূতাবাস। শুক্রবার সকালে শান্তিনিকেতনের রতনকুঠি অতিথি নিবাসে, উপাচার্যের হাতে বাংলাদেশ ভবনের ওই নকশা তুলে দেন ডেপুটি হাই কমিশনার জকি আহাদ। ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হওয়ার কথা জানান সুশান্তবাবু।
হাই কমিশনার জকি আহাদ সঙ্গে ছিলেন অন্য দুই প্রতিনিধি মোফাক খারুন ইসলাম এবং মহম্মদ আনোওরুফ ইসলাম। এ দিন সকালে বিশ্বভারতীর রতন কুঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য, দুই প্রো-ভোস্ট, ইন্দিরা ভবনের অধিকর্তা, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব, বিশ্বভারতীর ইঞ্জিনিয়ার-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন বংলাদেশের ওই প্রতিনিধিরা।
শান্তিনিকেতনে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবনের জন্য ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই পূর্বপল্লীর ইন্দিরাভবনের পাশে বিশ্বভারতীর দেওয়া প্রায় দু বিঘে জমি সরজমিনে দেখে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের তত্কালিন ডেপুটি হাইকমিশনার মেহেবুব হাসান সালেহ-সহ এক প্রতিনিধিদল। ঠিক হয়, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় এবং বিশ্বভারতীর দেওয়া জমিতে ওই ভবনটি গড়ে উঠবে। এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সেতুকে আরও শক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এবং বিশ্বভারতীর যৌথ সহায়তায় শান্তিনিকেতনে দ্রুত শুরু হতে চলেছে ওই প্রকল্প।
প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবনে শুধু সাংস্কৃতিক মেল বন্ধনই নয়, উভয় দেশের ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথ, মুজিবর রহমানের মতো ব্যক্তিত্বদের জীবনী এবং তাঁদের কর্মকাণ্ড উভয় দেশের পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেবে বিশ্বভারতী। বাংলাদেশ ভবনের মতো উদ্যোগ অবশ্য বিশ্বভারতীতে প্রথম নয়। এর আগে শান্তিনিকেতনে চিন সরকারের উদ্যোগে এবং বিশ্বভারতীর যৌথ প্রয়াসে চিনা ভাষা পঠন পাঠনের জন্য চিনাভবন রয়েছে। রয়েছে জাপানি ভাষার জন্য নিপ্পন ভবন। ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ বলেন, “বিশ্বভারতীতে হতে চলা বাংলাদেশ ভবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নকশাতে কিছু পরিবর্তন করেছেন। পরিবর্ধন করেছেন সেই নকশা। আজ বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সেই নকশাটি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy