গত জানুয়ারি মাসে কুমার সুরেন্দ্র সিংহ শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় জুনিয়র বিভাগে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন শিলিগুড়ি কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী গুড়িয়া রায়। তবে নিজের শ্যুটিং রাইফেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম না থাকায় আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি ওই প্রতিযোগিতায় খেলতে পারেননি। একরাশ হতাশা নিয়ে দিল্লির কারনিসিং শ্যুটিং রেঞ্জ থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। শিলিগুড়ির টিউমল পাড়ার ওই তরুণীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় মবার্ট হাই স্কুলের একদল প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৯৩ সালে স্কুল থেকে পাশ করেছেন তাঁরা। রবিবার তাঁর হাতে ৪০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দিয়েছেন তাঁরা, যা দিয়ে জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরের শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে জ্যাকেট, ট্রাউজার্স, জুতো-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনবেন ওই তরুণী।
তবে এখনও জোগাড় হয়নি নিজস্ব শ্যুটিং রাইফেল। আগামী ডিসেম্বরে দিল্লিতে ৫৮তম জাতীয় শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছে শিলিগুড়ির ওই জুনিয়র শ্যুটার।
নিয়ম মতো, নিজস্ব রাইফেল না থাকলে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অন্য কারও রাইফেল নিয়ে যোগ দিতে পারেন প্রতিযোগীরা। দুঃস্থ পরিবারের ওই তরুণীর পক্ষে দুই লক্ষাধিক টাকা খরচ করে শ্যুটিং রাইফেল কেনা এখনও সম্ভব হয়নি। তাই জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত অন্য প্রতিযোগীদের কাছ থেকে রাইফেল ভাড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে হচ্ছে তাকে। দেড় ঘন্টার ম্যাচের জন্য রাইফেলের ভাড়া চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে হলে নিজস্ব রাইফেল, অন্যান্য সরঞ্জাম থাকা বাধ্যতামূলক। তাই সুযোগ পেয়েও গত জানুয়ারিতে সুরেন্দ্র সিংহ শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাদ পড়েন তিনি। তবে এ দিন মবার্ট হাই স্কুলের ওই প্রাক্তন ছাত্রদের দলটিকে পাশে পেয়ে তিনি আশাবাদী। গুড়িয়া জানান, সুরেন্দ্র সিংহ শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ফিরে আসার পর ফেব্রুয়ারিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন গুড়িয়া। তাঁর দফতরেও একদিন গিয়েছিলেন তিনি। মন্ত্রী না থাকায় দেখা হয়নি। তাঁর দফতরে লিখিত আবেদন করে এসেছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ওই খেলোয়াড় আমার সঙ্গে এখনও দেখা করেননি। বিস্তারিত কিছু জানা নেই। তাঁর সমস্যার ব্যাপারে খোঁজ নেব।”