প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে গিয়েছিলেন দফতরেরই তিন আধিকারিক। সেখানে তদন্তের নামে বিদ্যুৎ দফতরের এক মহিলাকর্মীকে ঘরে আটকে রেখে তাঁকে হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো তাঁদের বিরুদ্ধে।
সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রথবাড়িতে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের অফিসে। ঘটনার পর ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে আক্রান্ত মহিলার ছেলে বিদ্যুৎ দফতরের ওই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিদির্ষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার ইংরেজবাজার শহরের মালঞ্চপল্লি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি মারা যাওয়ায় চাকরি পান ওই মহিলা। এখন তিনি রথবাড়ি বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে কাজ করেন। বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রথবাড়ি অফিসের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই দিন অফিসে তদন্তে যান বিদ্যুৎ দফতরের তিন আধিকারিক। তদন্তের জন্য দফতরের একটি ঘরে ডাকেন পঞ্চাশোর্ধ ওই মহিলাকে। অভিযোগ, এক ঘণ্টা ধরে তাঁকে ঘরে আটকে রেখে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকী, তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। ঘটনায় দফতরের অন্য কর্মীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়।
সহকর্মীরাই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর দাবি, ‘‘একটি রিসিভে দু’বার স্বাক্ষর করে দিয়েছিলাম। ভুলবশত তা হয়ে গিয়েছে। আমি আধিকারিকদের কাছে ভুল স্বীকার করে নিলেও আমাকে তাঁরা নির্যাতন করেন। ঘন্টা খানেক ধরে ঘর বন্দি করে রাখার ফলে আমি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি চাই পুলিশ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’
যদিও ওই তিন আধিকারিক কিছু বলতে চাননি। বিদ্যুৎ দফতরের মালদহের রিজিওনাল ম্যানেজার দিলীপ বাছার বলেন, ‘‘তদন্তের গতি থমকানোর জন্য চক্রান্ত করে আমাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy