ফাঁকা দেশপ্রেম
সীমান্ত গুহঠাকুরতার লেখা (‘দেশপ্রেমের মলম’, রবিবাসরীয়, ২-১১) পড়লাম। গত অক্টোবরে সপরিবার নাথু লা বেড়াতে গিয়েছিলাম। এখানেও বিগত যুদ্ধের নিহত সেনানীদের স্মরণে স্মৃতিফলক, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পাখি, পশু ইত্যাদির সচিত্র তালিকা। ও দিকে, সিঁড়ির টালি খসে পড়ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেনারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। ও দিকে, চিন সীমাম্তে ঝাঁ চকচকে রাস্তা, পাহারারত চিনা সৈনিকদের বাইনোকুলার চোখে কঠিন শীতল চাহনি সম্ভ্রম উদ্রেক করে। ভারতীয় পর্যটকদের হাত নাড়ায় প্রত্যুত্তর দিতে বিন্দুমাত্র উৎসাহ দেখাল না তারা। কাঁটাতারের ও পারে কোনও ভাবে পা পড়ায় এক ভারতীয় সেনা রে রে করে দৌড়ে এসে হিন্দিতে বললেন, এতে উলঙ্ঘন হচ্ছে, যা চিনা সেনাদের নজর এড়ায়নি। ইতিহাসের পরিহাস, চিনা সেনারা ওদের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্যেই ভারত সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে ঢুকে দু’হপ্তা কাটিয়ে যান, আর আমাদের সরকার শান্তিপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যায়। উল্টোটা ঘটলে নিশ্চয়ই ভারতীয় সেনারা জামাই আদর পেতেন না।
কোনও দেশ সামরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হলে সবাই তাকে সমীহ করে, শুধু দেশপ্রেমের মলমে কার্যসিদ্ধি হয় না।
দেবব্রত সেনগুপ্ত। কদমতলা, হাওড়া-১
কোথায় দেখলেন
কাজি মাসুম আখতার (‘মাদ্রাসা সম্পর্কে..., ২১-১০) লিখেছেন, ‘রাজ্য বা দেশ জুড়ে চলছে বহু টোল বা চতুষ্পাঠী, যেখানে বেদ, রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি হিন্দুধর্ম শাস্ত্রই পড়ানো হয়।’ সহমত হওয়া গেল না। একুশ শতকের এই বাংলায় টোল, চতুষ্পাঠী খুঁজতে দুরবিন লাগবে।
সঞ্জয় চৌধুরী। ইন্দা, পশ্চিম মেদিনীপুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy