প্রতীকী ছবি।
খুব সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৪ শতাংশ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। শোরগোল তুলেছিল বাম-বিজেপি-কংগ্রেস সহ সব বিরোধীরা। তাদের অভিযোগের সারকথা ছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও অবকাশই বিরোধীরা ওই সব আসনে পায়নি। কারণ একটাই, ‘শাসকের সন্ত্রাস’। আর শাসক বলেছিল, এই ফল উন্নয়নের ফসল। সেই ‘উন্নয়ন’-এর ব্যাপকতর চেহারা দেখা গেল ত্রিপুরায়। মাত্র কয়েকমাস আগে ক্ষমতায় আসার পরই আঞ্চলিক নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন জয় নিয়ে সবচেয়ে সরব হয়েছিল যারা।
ভারতীয় রাজনীতি এখন এই এক আশ্চর্য পরিহাসের মধ্যে দিয়ে চলেছে। প্রকাশ্য ঘোষণায় নীতির বাগাড়ম্বর এবং কার্যক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত আচরণ— এই দোষ থেকে বোধহয় কোনও দলই নিজেদের মুক্ত বলতে পারবে না। নিজের সুবিধামতো মাপকাঠিগুলো স্থির করে নেব এবং সেটাই যুক্তি-কুযুক্তির জালে সাজিয়ে তুলব সাধারণ মানুষের সামনে, এর মধ্যেও একটা বিবেচনা ও মাত্রা বোধের পরিচয় থাকা দরকার। থাকা দরকার রাজনৈতিক জগতে অধুনা লুপ্ত চক্ষুলজ্জা নামের নিতান্ত অপরিহার্য একটি বোধ। সে বোধ যদি থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ শতাংশ নিয়ে বিরোধী স্বর উচ্চাঙ্গে তুলে ত্রিপুরায় ৯৬ শতাংশ আসনের এই অঙ্কটা পেশ করা সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক দলগুলো একবার আয়নার সামনে দাঁড়াবে কি? আম আদমির সামনে অন্তত এক বার কি তুলে ধরবে প্রকৃত সত্য?
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতে ৯৬% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়, বেকায়দায় বিজেপি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy