Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

দিল্লির বাংলা বইমেলা থেকে সম্প্রতি বইটি কিনে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের উপদেষ্টা অমিতাভ রায় বেদম চটেছেন। অমিতাভবাবু শুধু বই-ভক্তই নন, অশোকবাবুর লেখারও অনুরক্ত তিনি।

পুরাতন: ১৯৬৮ সালের ‘এক্ষণ’ পত্রিকার কার্ল মার্ক্স সংখ্যা। ডান দিকে, অশোক মিত্র

পুরাতন: ১৯৬৮ সালের ‘এক্ষণ’ পত্রিকার কার্ল মার্ক্স সংখ্যা। ডান দিকে, অশোক মিত্র

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

নতুন বইয়ে থেকে গেল ‘মিত্র রহস্য’

‘এক্ষণ’ পত্রিকা কার্ল মার্ক্স বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছিল ১৯৬৮ সালে। এত বছর পর সেই বইটি পুনর্মুদ্রিত হল। কিন্তু অবাক কাণ্ড, ’৬৮ সালের সংখ্যায় অশোক মিত্রের প্রবন্ধ ছিল, এ বার সেটি বাদ। দিল্লির বাংলা বইমেলা থেকে সম্প্রতি বইটি কিনে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের উপদেষ্টা অমিতাভ রায় বেদম চটেছেন। অমিতাভবাবু শুধু বই-ভক্তই নন, অশোকবাবুর লেখারও অনুরক্ত তিনি। অমিতাভবাবু ফোন করেছিলেন ‘এক্ষণ’-এ। ওঁকে বলা হয়, পুরনো কপিতে অশোকবাবুর লেখাটি এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল যে এ বার সেটি ছাপা যায়নি। যুক্তি মানতে নারাজ ক্ষুব্ধ অমিতাভবাবু কলকাতায় অশোকবাবুর সঙ্গে দেখা করে লেখাটির কথা জিজ্ঞাসা করেন। নব্বই ছুঁই-ছুঁই লেখকের শরীর ভাল নয়, কিন্তু স্মৃতিশক্তি এখনও প্রখর। তাঁরও মনে আছে ’৬৮ সালে ‘এক্ষণ’-এর লেখাটির কথা। তা হলে? এ এক রহস্য!

চড়া ও পড়া

প্রাক্তন বিদেশ সচিব শ্যাম শরণ থাকেন দিল্লিতে। পরমাণু চুক্তি থেকে চিন, সব কিছুতেই সক্রিয় ছিলেন। এখন বই লেখেন, আর নেশা পাহাড়ে চড়া। আপাতত তিনি উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে, সেখানে একটা বাড়ি বানিয়েছেন। সুযোগ পেলেই পাহাড় চড়তে লেগে পড়েন। আর সদ্য-প্রাক্তন বিদেশ সচিব জয়শঙ্কর? সিঙ্গাপুর সরকার তাঁকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা করতে চায়, কিন্তু আইনানুসারে অবসরের পর দু’বছর অন্য রাষ্ট্রের কাজ করতে পারবেন না। তিনি এখন সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। দু’বছর পর সিঙ্গাপুর সরকারের চাকরি করবেন।

খোশমেজাজে

মনমোহন সিংহের আমলে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন কৌশিক বসু। তার পর বিশ্ব ব্যাঙ্কের চিফ ইকনমিস্ট। নিয়মিত ডায়েরি লিখেছেন এই সময়টায়, তা সম্পাদনার কাজে হাত দিয়েছেন। ইচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে নীতি তৈরি প্রসঙ্গে, আর কাজের সূত্রে আলাপ হওয়া কিছু আকর্ষক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বই লিখবেন। নতুন কাজ নিয়ে খোশমেজাজে অর্থনীতির অধ্যাপক।

ফেসবুকের বাস্তুদোষ

এত দিন দিল্লিতে ফেসবুকের নিজস্ব কোনও অফিস ছিল না। পাঁচতারা হোটেলেই চলছিল তাদের দফতর। হোটেলে অফিস করা বহু বিদেশি রাষ্ট্রেরই দস্তুর। নিরাপত্তাও ভাল, খরচও রাশে থাকে। ভাই বীরসিংহ মার্গে ফেসবুক নতুন অফিস বানিয়ে সম্প্রতি উঠে গিয়েছে। এর মধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ফেসবুক নিয়ে বিতর্ক, ঝঞ্ঝাট। কিছু ভারতীয় ফেসবুক-বন্ধু বলছেন, বাসা বদল করলে পুজোআচ্চা করে, পাঁজি বা বাস্তু দেখে যেতে হয়। ভারতের মতো দেশে অফিস করতে গেলে এ সব মানা উচিত ছিল। যস্মিন্ দেশে যদাচার!

গুজরাতি থালি

প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বহু অফিসার গুজরাতি। অধিকাংশের পরিবারই অমদাবাদে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ সঞ্জয় ভবসার মা’র মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গেলেন অমদাবাদে। তন্ময় মেহতা অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিব, তাঁর পরিবারও সেখানে। পি কে মিশ্র থেকে এ কে শর্মা, বহু বিভাগীয় সচিবও দিল্লি-অমদাবাদ করছেন। এঁদের জীবন খুবই অনাড়ম্বর। অনেকেই গুজরাত ভবনে গুজরাতি থালি দিয়ে লাঞ্চ সারেন। পাঁচতারা হোটেল থেকে বেশ কিছু মন্ত্রীর দুপুরের খাবার আসতে দেখা যায়,
পিএমও-তে সে দৃশ্য বিরল।

কাজের ফাঁকে

অবকাশ: ব্যাট হাতে অভিষেক

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক এ বার দিল্লি এসে বাড়ির লন-এ চুটিয়ে ক্রিকেট খেললেন। তাঁর বাড়িতেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দু’দিন। নেত্রীর সঙ্গে ১০ জনপথে, সংসদে ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক। কাজের ফাঁকে ক্রিকেট প্র্যাকটিস, মন্দ নয়। অবশ্য শুধু ক্রিকেট না, নিয়মিত ব্যাডমিন্টনও খেলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

গান-বাক্স

রাজ্যসভার অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য বেঙ্কাইয়া নায়ডুর উপহার ‘ক্যারাভান রেডিয়ো’। সঞ্জীব গোয়েন্কা-র সংস্থা ‘সারেগামা’ বাজারে এনেছে এই ক্যারাভান। পুরনো রেডিয়োর মতো দেখতে; নীল, সাদা রঙের। ভিতরে ভরা আছে নতুন ও পুরনো হিন্দি ছবির গান, রাগপ্রধান গান। প্রাক্তন তো কী, সদস্যরা মন ভাল রাখতে গান শুনুন, এটাই কি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পরামর্শ?

জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Diaries
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE