Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

নিউটন এই ভারতকে চেনে না, দেখেনি। কিন্তু তার দুনিয়ায় বাস্তবে গণতন্ত্র কী— এটার যে নগ্নতা, সেই ছবিটাও তার জানা ছিল না।

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ১০:২৯
Share: Save:

গণতন্ত্রের নামে

‘নিয়মটুকু মানো, নিউটনের সূত্র’ (১৪-১০) লেখাটি ‘নিউটন’ ছবির একটি ঠিক মূল্যায়ন। তবু কয়েকটা কথা না বললেই নয়। বিদেশি সাংবাদিককে গিফ্‌ট দেওয়ার মতো করে দেখাতে হবে, এত জনের মধ্যে এত জন ভোট দিয়েছে। এ এমন এক গণতন্ত্র, যেখানে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরকে সন্তুষ্ট করতে হয় তার উপরের স্তরকে, সে আবার সন্তুষ্ট করে তারও উপরের স্তরকে! এবং সাজানো ঘটনা ঘটিয়ে, মিথ্যে ও একপেশে তথ্য দিয়ে! এই প্রাথমিক তথ্যগুলো দিয়েই তৈরি হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্যভাণ্ডার এবং এই তথ্যভাণ্ডারই নাকি গণতন্ত্রের শক্তি!

‘নিউটন’ ছবিটি দেখে এটা বোঝা সম্ভব যে, গরিব আদিবাসী অশিক্ষিত মানুষের কাছে ‘গণতন্ত্র’ আসলে একটি মুখোশ, যেটা তারা পরতেও জানে না— প্রশাসনের বহু স্তর তাদের কাছে এসে প্রশাসনের নিজেরই স্বার্থে ওই তথ্যভাণ্ডারকে সত্যি বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য এক বার এসে জোর করে ওই মুখোশটা পরাতে বাধ্য করে। নিউটন এই ভারতকে চেনে না, দেখেনি। কিন্তু তার দুনিয়ায় বাস্তবে গণতন্ত্র কী— এটার যে নগ্নতা, সেই ছবিটাও তার জানা ছিল না। কিন্তু ‘নিয়মে লেখা যে গণতন্ত্র’, তাকে পালন করাই যদি গণতন্ত্র হয়, তার ফলাফলও তো তা হলে ভাল হওয়া উচিত। নিউটন দেখল মানুষ নিজে তার ভোট দিচ্ছে স্বেচ্ছায় ভোটকেন্দ্রে এসে না,
তাদের নানান কায়দায় ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। গণতন্ত্র মানা হচ্ছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে। বাইরের নিয়মটুকু মেনে গণতন্ত্র মজবুত হয় না। ভোটে কিছুই যে হয় না গরিব মানুষদের, এই ধারণাটাই কি মান্যতা পেল ছবিটাতে?

পরিচালককে খুব সংযত হয়ে সাবধানে কাজটা করতে হয়েছে। সেন্সরবোর্ডের গণতান্ত্রিক বেড়াজাল তাঁকে ডিঙোতে হবে। এই সাবভার্শনের শিল্প মাথা খাটিয়ে বার করতেই হবে, না হলে অনেক অশান্তি পোহাতে হত— ছবিটা হয়তো রিলিজই হত না।

উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা-৭৪

‘খতম’ কেন

‘কাশ্মীরে খতম বুরহানের সঙ্গী ওয়াসিম’ (১৫-১০, পৃ ৮)— মাঝে মধ্যেই এমন শিরোনাম চোখে পড়ে। জঙ্গিবাদ কোনও ভাবেই সমর্থনীয় নয়। কিন্তু জঙ্গি হোক বা পুলিশ কিংবা সাধারণ নাগরিক— মারা গেছে এক জন মানুষ। ভাষা ব্যবহারে তথা শব্দ প্রয়োগে আর একটু সংযত হওয়া যেত না! প্রতিবেদনে দেখলাম, ওয়াসিম এক সময় ভাল ক্রিকেট খেলত, সেনা আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও অংশ নিয়েছে। এমন এক জন কেন জঙ্গি হয়ে গেল, তার কারণানুসন্ধানের আগ্রহ আমাদের নেই। জাতীয়তাবাদের প্রাবল্যে আমরা সাধারণ কাশ্মীরিদেরও ‘অ্যান্টি-ইন্ডিয়ান’ করে দিচ্ছি না তো!

ঝরনা ধর

কলকাতা-১০৭

ট্রেনে শৌচালয়

শিয়ালদহ থেকে লালগোলার দূরত্ব ২২৯ কিমি। ট্রেনের ধরন অনুযায়ী যাত্রার সময়কাল পাঁচ থেকে সাড়ে ছ’ঘণ্টা। এই লাইনে মূলত মালদহ,বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ভারতীয় রেল কিছু দিন হল শিয়ালদহ-লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় ইএমইউ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যুৎচালিত ট্রেনগুলিতে জল বা টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। তাই প্রথম প্রশ্ন, ৬ ঘণ্টা দূরত্বের কোনও যাত্রাপথে ইএমইউ চালানো যায় কি? টয়লেটহীন ট্রেনগুলো চালানোর শুরুতে একটি প্রতিবাদ হয়, আর তার ফলে রেল এক বিচিত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ট্রেনগুলির পোশাকি নাম বদল করা হল— রাতারাতি এগুলো শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর এবং কৃষ্ণনগর-লালগোলা লোকালে ভেঙে দেওয়া হল। নির্দেশ এল মাঝপথে কৃষ্ণনগর স্টেশনে ট্রেনগুলিকে আধ ঘণ্টা করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। স্টেশনের সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করবেন এক ট্রেন লোক। এই সিদ্ধান্তের ফলে ডাবল লাইন এবং বৈদ্যুতিকরণ হওয়ায় যাত্রার সময় কমার পরিবর্তে বেড়ে গেল। নদিয়া-মুর্শিদাবাদ থেকে যে সমস্ত মানুষ কলকাতায় আসেন, তার একটা বড় সংখ্যক লোক আসেন ডাক্তার দেখাতে। অনেক শিশুও থাকে ট্রেনের মধ্যে। রেল দফতর এদের কথা বেমালুম ভুলে গেল। কৃষ্ণনগরে ট্রেনগুলিকে দাঁড় করিয়ে গার্ড এবং ড্রাইভার নেমে চলে যায়, নতুন গার্ড-ড্রাইভার অনেক সময় আসতে দেরি করেন। অবিলম্বে এর বিহিত করুক রেল দফতর।

মনিরুল ইসলাম

কল্যাণী, নদিয়া

বিসর্জনের বিধি

১৬ এপ্রিল ১৯৯৬ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুলদীপ সিংহ ও সাগীর আহমেদের নির্দেশে দেশের মধ্যে প্রথম গ্রিন বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টে গঠিত না হলে (‘বিসর্জনে বিধি-নিষেধ পরিবেশ আদালতের’, ১৫-১০) এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তরে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন না থাকলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াত আমাদের পরিবেশ? কলকাতার প্রথম সারির পুজো উদ্যোক্তাগণ নিপুণ দক্ষতায় প্রতিমা, মণ্ডপ নির্মাণ ও ভিড় সামলানোর কাজ করে থাকেন। তাঁরা কি পারতেন না বিসর্জনে পরিবেশ বিধি মানতে? ওই সকল পুজোর সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বুদ্ধিজীবীরাও থাকেন। ওঁরাই পথ দেখাতে পারতেন মাঝারি ও ছোট উদ্যোক্তাদের।

নন্দগোপাল পাত্র

সটিলাপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

ফুলে ফুলে

‘ফুলে ফুলে’ (১৩-১০, পৃ ৫) ক্যাপশন দিয়ে যে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে না বোঝা যাচ্ছে ফুল, না বোঝা যাচ্ছে পাতা। এমন নিম্নমানের ছবি না ছাপলেই ভাল।

কার্তিক মিশ্র

ই-মেল মারফত

ফুটপাত নেই

ব্যারাকপুর বারাসত রোড-এর দু’পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ইট ফেলা আছে। ফলে সমস্ত পথচারীকে বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হয়। দু’পাশে ফুটপাত করে দিলে পথচারীরা এই আতঙ্ক থেকে রক্ষা পান।

রানা লাহিড়ী

নোনাচন্দনপুকুর, বারাকপুর

এক্সপ্রেসওয়ে

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এয়ারপোর্ট সিটি ফেজ ওয়ান এবং ফেজ টু এর কাছে বিশাল বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে গাড়ির চালকেরা হয় বাঁ দিক অথবা ডান দিক ঘেঁষে গাড়ি ছোটান। জাতীয় সড়ক হওয়ার কারণে গাড়ির গতি একটু বেশিই থাকে। প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

সমীরবরণ সাহা

কলকাতা-৮১

ভোগান্তি

গত ১১ অক্টোবর রাজভবন থেকে নবান্ন যাওয়ার জন্য অ্যাপ ক্যাব বুক করি। কিন্তু চালক ফোনে জানান, উনি আমার বুকিং স্থানে আসতে পারবেন না, বরং আমাকে ওঁর গাড়ির কাছে (সি আর অ্যাভিনিউ) যাওয়ার পরামর্শ দেন। আমার কাছে অনেক মালপত্র থাকা সত্ত্বেও, মিনিট দশেক হেঁটে ওঁর বলা জায়গায় পৌঁছই। সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে আমি চালককে আবারও ফোন করি। উনি ফোন ধরেননি। আরও কিছু এগিয়ে নম্বর দেখে নির্দিষ্ট গাড়িটিকে শনাক্ত করি। অদূরে এক জনকে ফুটপাতে খেতে দেখে জিজ্ঞেস করি, উনিই চালক কি না। উনি স্বীকার করেন এবং জানিয়ে দেন যে, যাবেন না। বলেন, ‘ট্রিপ বাতিল করে দিন। যাব না। যা খুশি করে নিন।’ কয়েকটি প্রশ্ন: চালক কি বুকিং লোকেশনে আসতে বাধ্য নন? বুকিং কনফারমেশনের পরেও কি চালক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোন ধরতে বাধ্য নন এবং যাব না বলে, বুকিং বাতিল করার পরামর্শ দিতে পারেন? সংস্থার হেল্প লাইনে প্রমাণসহ অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু সমাধান আদৌ হবে তো?

অন্নদা পাল

নবান্ন, হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Letters to the Editor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE