Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: কালো টাকা

পীযূষ গয়াল বললেন, খুব শিগগিরই সরকারের হাতে নাকি এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এসে যাবে। তার পর কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গয়াল সাহেবরা তথ্য পাচ্ছেন না বলেই ব্যবস্থা নিতে পারছেন না, এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য?

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ০০:০১
Share: Save:

আশা করেছিলাম সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিজেপি নেতারা উদ্বিগ্ন হবেন। পরিবর্তে দেখলাম, তাঁরা অদ্ভুত ভাবে ব্যাপারটাকে খানিকটা যেন আড়াল করার চেষ্টা করছেন। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, জমা টাকার সবটাই যে কালো, তা ধরে নেওয়া হচ্ছে কেন? অরুণ জেটলি ব্লগে লিখেছেন, সুইস ব্যাঙ্কে জমা মানেই সেটা কর ফাঁকির টাকা নয়। তা হলে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা যখন কালো টাকা নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন, সে দিন তাঁদের কে বলে দিয়েছিল যে সুইস ব্যাঙ্কের জমা টাকাগুলি কালো? তাঁরা তো এই টাকাই উদ্ধার করে প্রত্যেক ভারতীয়ের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ভরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অবশ্য তাঁদের দলের সভাপতি পরে স্বীকার করেছিলেন যে এটা ছিল নিছকই একটা ‘জুমলা’, কথার কথা। তা হলে প্রধানমন্ত্রীও প্রকাশ্যে স্বীকার করুন যে কালো টাকা উদ্ধারের সদিচ্ছা তাঁদের নেই৷

পীযূষ গয়াল বললেন, খুব শিগগিরই সরকারের হাতে নাকি এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এসে যাবে। তার পর কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গয়াল সাহেবরা তথ্য পাচ্ছেন না বলেই ব্যবস্থা নিতে পারছেন না, এ কথা কি বিশ্বাসযোগ্য? দেশে কালো টাকার যে একটা সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে তা কি সরকারের অজানা? বিজেপি নেতাদের অস্বস্তিটা বোঝা যায়। যখন বিদেশ থেকে তাঁরা টাকা উদ্ধার করে আনতে পারলেন না এবং এ নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিতে লাগল, তখন প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিল করে ঘোষণা করলেন, এ বার আর কালো টাকার মালিকরা রেহাই পাবে না। অথচ সুইস ব্যাঙ্কে জমা টাকা ৫০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার ঘটনাটা ঘটেছে নোট বাতিলের পরেই। ব্যর্থতাটা পরিষ্কার।

ইন্দ্রজিৎ মিত্র, কলকাতা–৪

জানালা-বিলাস

যে যাত্রীরা ভ্যাপসা গরমে জানালার পাশে ‘সিট’ নেওয়ার জন্য কন্ডাকটরকে প্রায় হাতে-পায়ে ধরতেও রাজি থাকেন, তাঁরাও পারতপক্ষে বৃষ্টি-বাদলার দিনে সরকারি বাসের জানালার কাছ ঘেঁষতে চান না! সাধের ‘বাতায়ন বাতিক’ উবে যাওয়ার জোগাড় আর কী! আসলে, এ সব বাসের জানালা হাতের মুষ্টি বা ছাতার বাঁট দিয়ে অনেক ঠোকাঠুকি করে কোনও ক্রমে যদি যাত্রিগণ বন্ধ করতে পারেন তো খুলতে পারবেন না; আর, যদি নানা কসরত করে খুলতে পারেন তো বন্ধ করতে পারবেন না! বেশির ভাগ জানালাতেই হাতির শুঁড়ের ন্যায় এক ধরনের ধাতব আংটার সঙ্গে এই জানালার স্টিলের ফ্রেমে আটকানো কাচগুলো ঝোলানো থাকে; যা ব্যবহার করতে গিয়ে তাঁদের আঙুল না কাটাটাই অস্বাভাবিক ব্যাপার!

সাবির চাঁদ, রেজিনগর, মুর্শিদাবাদ

আতঙ্ক

খড়্গপুর ও মেদিনীপুর থেকে রোজ শত শত মানুষ ট্রেনে হাওড়া হয়ে কলকাতা ও বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন, লোকাল-সহ বেশির ভাগ গাড়ি নিউ কমপ্লেক্স স্টেশনেই নেওয়া হয়, সেখানে নেমে বাস ধরা অথবা বাস থেকে নেমে ট্রেন ধরা যে কী ভয়ঙ্কর ব্যাপার, তা ভুক্তভোগীরাই জানেন! সঙ্গে বয়স্ক, অসুস্থ বা শিশু থাকলে তো কথাই নেই। বর্তমান ফুট ওভারব্রিজটি ২৩ নং প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত সম্প্রসারিত করলে, হাওড়া নিউ কমপ্লেক্স হয়ে যাতায়াতের আতঙ্ক দূর হয়।

মিন্টু চৌধুরী, সুভাষপল্লি, খড়্গপুর

ধোঁয়া পরীক্ষা

হাওড়া গ্রামীণ এলাকার আমতা, জয়পুর বা উদয়নারায়ণপুর থানার কোথাও দু’চাকা বা চার চাকা গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। এই সব এলাকার চালকদের ধোঁয়া পরীক্ষা করাতে ছুটতে হয় বাগনান বা উলুবেড়িয়া। আমতায় ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র চাই।

দীপংকর মান্না, চাকপোতা, হাওড়া

পুকুর হোক পার্ক

ব্যারাকপুর সতেরো নম্বর রেলক্রসিংয়ের কাছে ভূতনাথ কলোনিতে রেলের জায়গায় একটি পুকুর ছিল। বছর দেড়েক আগে সেই পুকুরের অর্ধেক অংশ ভরাট করে তিনটি ঘর তৈরি হয়েছে। বাকি অংশে আবর্জনা ফেলে তাও ভরাট হয়ে গিয়েছে। নোংরা, ময়লা, দুর্গন্ধ, মশা-মাছিতে এলাকার পরিবেশ ক্রমশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে একটি বাচ্চাদের পার্ক করে দিলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।

নারায়ণচন্দ্র দেবনাথ, ব্যারাকপুর

বিধবা ভাতা

১৭-১৮ বছর হল বিধবা ভাতা পাচ্ছি মাসে ৭৫০ টাকা। প্রথম প্রথম মানি অর্ডার করে বাড়িতে আসত টাকা। তার পর দু’মাস অন্তর ১৫০০ টাকা পাচ্ছি ব্যাঙ্কের মারফত। এই টাকায় আজকের দুর্মূল্যের বাজারে এক জনের এক বেলা অন্ন সংস্থানও কি সম্ভব? কাগজে প্রতি দিন দেখছি সকলের ভাতা বাড়ছে। আমাদের কথা কি ভাবা উচিত নয়?

ছবি চক্রবর্তী, কলকাতা-১৯

রাস্তা, নালা

অশোকনগর থেকে উদয়পল্লির মেদিনীপুর শহর এবং ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত রাস্তার অবস্থা করুণ। নিকাশি নালার অবস্থাও খুবই খারাপ। নালাগুলি এবং এই অঞ্চলে ভ্যাটগুলি নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। রাস্তা ভেঙে ইট পাথর বেরিয়ে পড়েছে। সবে বর্ষা শুরু হয়েছে, বৃষ্টি হলেই রাস্তা এবং গর্তে জল জমছে।

সুবীরকুমার সোম, মেদিনীপুর শহর

কেন আছে?

হাওড়া স্টেশন থেকে ৩৭০৬৫ আপ শেওড়াফুলি লোকাল, যেটি সন্ধে ৬:২৫ মিনিটে ছাড়ে, মাসের মধ্যে অধিকাংশ দিনই বাতিল থাকে। এগুলোকে নাম কে ওয়াস্তে টাইম টেবিলে রেখে কী লাভ?

অরূপরতন আইচ, কোন্নগর, হুগলি

ব্যাঙ্ক, হুইলচেয়ার

কাকাকে নিয়ে পেনশন আনতে স্টেট ব্যাঙ্কে যাই। কাকা প্রতিবন্ধী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। স্ট্রোক হওয়ার পরে তাঁকে নাড়াচাড়া করা দুর্বিষহ। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নির্দেশানুযায়ী, ওঁকে যে ভাবে হোক ব্যাঙ্কে নিয়ে যেতে হয়। আগে যা হোক করে গাড়িতে বসিয়ে রেখে, ব্যাঙ্ক কর্মচারীকে খবর দিলে, তাঁরা এসে দেখে যেতেন। কিন্তু ইদানীং বলছেন, পেনশনভোগী ব্যক্তিকে ব্যাঙ্কের ভেতর নিয়ে আসুন, আমরা দেখব, তবেই পেনশন মিলবে। এ দিকে কোনও হুইলচেয়ারের বন্দোবস্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ করেননি। ব্যাঙ্কে অন্তত একটি হুইলচেয়ার রাখার বন্দোবস্ত করা কি উচিত নয়?

মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়, সোদপুর

পেনশন প্রশ্ন

রেলওয়ের যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মেডিক্যাল কার্ড নেই, তাঁরা পেনশনের সঙ্গে চিকিৎসা ভাতা পান। জানতে চাই, যদি স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মচারী হন এবং এক জনের মেডিক্যাল কার্ড থাকে, যেখানে দু’জনেরই নাম রয়েছে— সেখানে অপর জন কি চিকিৎসা ভাতা পাবেন? সুস্পষ্ট নির্দেশ নেই, অনেকেই এই দুু’রকম সুবিধা ভোগ করছেন, আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না।

মধুমিতা চৌধুরী, আদ্রা, পুরুলিয়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ই-মেলে পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE