Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: পাপের সেরা সিওটু

বাতাসে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়াকেই বজ্রপাত বৃদ্ধি ও বজ্রপাতে মৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হল।

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

• প্রাকবর্ষা ও বর্ষায় বজ্রপাতের সংখ্যা ও বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আচমকা এই বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার (?) কারণ কী, জানতে উসখুস করছেন সবাই। কিংকর্তব্যবিমূঢ় বাঙালিকুল অসহায় ভাবে নিদানের অপেক্ষারত। অচিরেই নিদান হল— বায়ুদূষণ। বাতাসে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়াকেই বজ্রপাত বৃদ্ধি ও বজ্রপাতে মৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হল।

ইতিপূর্বে আমেরিকার এল নিনো, মুম্বইয়ের অতিবর্ষণ, প্যারিসের বন্যার কারণ হিসেবে এই কার্বন-ডাইঅক্সাইডকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, খরা, বন্যা, মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ হিসেবেও দূষণ তথা কার্বন-ডাইঅক্সাইডকেই দায়ী করা হয়েছে। তাই বাংলায় বজ্রপাত বৃদ্ধির ন্যায্য কারণ হিসেবে কার্বন-ডাইঅক্সাইডকে চিহ্নিত করতে ও মেনে নিতে কারওই কোনও সমস্যা হয়নি।

শুনে, ছোটবেলায় ঠাকুমা-স্থানীয়াদের একটা উক্তি বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে। ‘‘বামুনের ছেলেকে সাপে কেটেছে’’ শুনে বলে উঠতেন, ‘‘পাপ, পাপ, সব পাপের ফল!’’ ‘‘অমুকের বৌ তমুকের সাথে পালিয়েছে’’ শুনে বলতেন, ‘‘ঘোর কলিকাল। এ পাপ সইবে না।’’ অর্থাৎ, যা-ই ঘটুক না কেন, সবার মূলে ওই— পাপ।

কলিকাল অন্তে বিজ্ঞানযুগে প্রবেশ করে কেন জানি না মনে হল, আধুনিক যুগে পাপের জায়গা নিয়েছে কার্বন-ডাইঅক্সাইড। এখন ‘‘যা কিছু হারায় আমরা বলি কার্বন-ডাইঅক্সাইডই চোর’’। অর্থাৎ, আধুনিক পাপ = কার্বন-ডাইঅক্সাইড। এই সূত্র প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়ে না, কারণ এটা স্বতঃসিদ্ধ। বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রকৃতির এমন দুর্জ্ঞেয় একটা রহস্য ভেদ করতে পেরে আনন্দে গেয়ে উঠি, ‘‘সব পাপের সেরা পৃথিবীর তুমি সিওটু’’।

সহস্রলোচন শর্মা

ই-মেল মারফত

বাস্তব অসুবিধা

• ‘ডাকঘর’ (৪-৬) শিরোনামে প্রকাশিত দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য-র (সহকারী ডাক অধীক্ষক, কল্যাণী সাব ডিভিশন, নদিয়া) চিঠির প্রতিবাদে এই চিঠি। গ্রামীণ ডাকসেবক ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে আমানতকারীগণ, যে অসুবিধা ভোগ করছেন, তা দূর করার জন্য তিনি কোনও পথনির্দেশ করতে পারেননি। নানা যুক্তি খাড়া করেছেন: আমানতকারীর ডাকঘর সঞ্চয় পাশবইতে যদি কেওয়াইসি করা থাকে, তবে আমানতকারীকে আর কষ্ট করে ডাকঘরে আসতে হয় না, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে উপভোক্তার নির্দেশমতো টাকা আপনিই ঢুকে পড়ে। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, গ্রামীণ ডাকঘরে যে বহু সংখ্যক আমানতকারী আছেন, যাঁরা স্বল্পশিক্ষিত, কেউ বা লেখাপড়া না জানা খেটে-খাওয়া মানুষ, যাঁরা অন্যের সাহায্যে ডাকঘর থেকে টাকা তোলেন, তাঁদের টাকা না পাওয়ার ব্যাপারে তিনি কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। তাঁর নিশ্চয়ই জানা আছে, গ্রামীণ ডাকঘরে তাঁর নির্দেশিত কেওয়াইসি, অটোট্রান্সফার, সিবিএস-লিঙ্কিং ইত্যাদি কিছুই নেই। অর্ধশিক্ষিত মানুষ কোনও রকমে নামসই করেন এবং টিপসই দিয়ে টাকা তোলেন, যে কাজে গ্রামীণ পোস্টমাস্টারের সাহায্য অবশ্য প্রয়োজন।

উনি লিখেছেন, ‘‘...বেশির ভাগ পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের সুবিধার্থে এটিএম কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেই এটিএম কার্ড ব্যাঙ্কের এটিএম মেশিনেও ব্যবহারযোগ্য। দুঃখের বিষয়, বেশির ভাগ গ্রাহকই এটিএম-এর সুবিধা নিতে ইচ্ছুক নন, কার্ড নিলেও সেটা ব্যবহার করেন না।’’ মনে হয় এটিএম কার্ড বিলির ব্যাপারে কোনও সঠিক ধারণা ওঁর নেই। গ্রামীণ ডাকঘর আমানতকারীদের এটিএম কার্ড বিলি হয়নি, বা এটিএম কার্ডে টাকা তোলার জন্য কেবল মাত্র হেড পোস্ট অফিস এবং দু’একটি বড় ডাকঘরে এটিএম মেশিন বসানো হয়েছে, তা-ও প্রায় অচল থাকে। গ্রামীণ ডাকঘরের আশেপাশে কোনও ডাকঘর এটিএম মেশিন নেই বা ব্যাঙ্ক নেই। গ্রামীণ ডাকঘর আমানতকারীদের পক্ষে সহজে ব্যাঙ্ক এটিএম থেকে টাকা তোলা প্রায় অসম্ভব।

বিজয়কৃষ্ণ বিশ্বাস

অবসরপ্রাপ্ত অধীক্ষক, চুঁচুড়া, হুগলি

পরিষেবা নেই

• আমি শ্যামনগর ডাকঘরের গ্রাহক। এক মাস ধরে এখানে পাশবই মুদ্রণ হচ্ছে না। এবং বিভিন্ন সময়ে একটা মাত্র কাউন্টার থেকে টাকা তোলা ও জমা হচ্ছে, পরিষেবা বলতে যা বোঝায় তা প্রায় মৃতপ্রায়। তরুণকুমার সাহা

শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগনা

আগে ভাল ছিল

• উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুর থানার দত্তপুকুর পোস্ট অফিস দীর্ঘ দিন নানা অবহেলার শিকার। এই পোস্ট অফিসের পশ্চাৎভূমি অনেক দূর বিস্তৃত। সেই তুলনায় পোস্ট অফিসের ঘরগুলি খুবই স্বল্প পরিসর। জনসাধারণের লাইনে দাঁড়াবার বারান্দা খুবই সঙ্কীর্ণ। অসংখ্য লেনদেনকারী প্রয়োজন মেটাতে এই পোস্ট অফিসে আসেন, কিন্তু অধিকাংশ কর্মীই পরিষেবা প্রদান করতে তৎপর নন। মাঝে মাঝে দু’এক জন কর্মচারী আসেন, যাঁরা উপভোক্তাদের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল, কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁদের অন্যত্র বদলি করা হয়।

কোনও দিন লিঙ্ক থাকে না, কোনও দিন বিদ্যুৎ থাকে না, কোনও দিন মেশিন খারাপ। আমার একটা কিসান বিকাশ মেয়াদ পূর্তির পর ভাঙাতে গিয়ে জানতে পারি, ১৫ দিনের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম, এখনও মেশিন ঠিক হয়নি। এক মাস পরে খোঁজ নিতে বলা হল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, এজেন্ট-এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এজেন্টকে বলতে গেলে শুনতে হল, ‘‘আমার হাতে চল্লিশটা বই আছে।’’ দৈনিক, প্রতি এজেন্টের একটা বই নেওয়া হবে। তাতে আরও এক মাস লেগে যেতে পারে। নোটবন্দির আগে অনেক ভাল ব্যবস্থা ছিল। উপভোক্তারা নিজেরা লাইনে তোলা বা জমার কাজ করতে সক্ষম হতেন।

নিত্যগোপাল মজুমদার

দত্তপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা

কাটা ওষুধ

• ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে, ওষুধের দোকানে বলা হচ্ছে, পাতা কেটে খুচরো ওষুধ দেওয়া যাবে না, তাই পুরো দশটি অথবা পনেরোটির পাতা কিনতে হবে। যদিও ডাক্তারের নির্দেশানুযায়ী আমার হয়তো আরও কম ওষুধের দরকার। একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। কিছু দিন আগে ঠান্ডা লাগায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি, ডাক্তার বলেন তিন দিন গার্গল করতে। অর্থাৎ আমার প্রয়োজন ছিল মোট তিনটি ট্যাবলেটের। দোকানে বলে, খুচরো তিনটে দেওয়া যাবে না, পুরো দশটার পাতাটাই নিতে হবে। ওষুধের পাতাটার দাম ছিল ২১১ টাকা; যার মানে, আমার কাছে এক একটি ট্যাবলেটের দাম দাঁড়াল ২১ টাকার জায়গায় ৭০ টাকা!

সমরকুমার মুখোপাধ্যায়

শিবপুর, হাওড়া

মোক্ষম

• দেবত্তম দত্তর ‘বাসে আড্ডা’ (১১-৬) চিঠির প্রেক্ষিতে আমার একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি। রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম স্টপ থেকে ২২১ নম্বর বাসে উঠেছি। বাসের ভিতরে যথেষ্টই জায়গা রয়েছে কিন্তু যথারীতি গেটের মুখে মানুষের জটলা। যাত্রীদের উঠতে নামতে অসুবিধা হচ্ছে। কন্ডাক্টর বিরক্ত হয়ে বলে উঠলেন, ‘‘পকেটমার ছাড়া বাকি সবাই গেট ছেড়ে ভিতরে চলে আসুন।’’ মুহূর্তের মধ্যে গেট ফাঁকা হয়ে গেল।

শান্তভানু সেন

শ্রীপল্লি, শান্তিনিকেতন

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ই-মেলে পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lightning Carbon dioxide Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE