Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: চন্দ্রবাবুর বার্তা

কোনও অঙ্গরাজ্যের প্রধানের যেমন এক্তিয়ার আছে এই সাংবিধানিক রীতির বিরুদ্ধে যাওয়ার আইনি পথে, তেমনই তাঁর মনে রাখা উচিত, সেই পথে যাওয়ার ফল দেশের জনমানসে কী বার্তা দিতে পারে।

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

‘চন্দ্রবাবুর— না সিবিআইকে’ (১৭-১১) প্রসঙ্গে এই চিঠি। ভারতবর্ষ এক গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বলবৎ রয়েছে। এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর এক অবিচ্ছেদ্য ধারা হল কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক। এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল পারস্পরিক বোঝাপড়া, তথ্য ও ভাবের আদানপ্রদান এবং একে অপরকে সহযোগিতা। কিন্তু সেই সাংবিধানিক রীতিকে অমান্য করার অনেক প্রতিফলন থাকে, যার প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রীয় মহিমাকেই খর্ব করে না, সেই সঙ্গে তা জনমানসেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। কোনও অঙ্গরাজ্যের প্রধানের যেমন এক্তিয়ার আছে এই সাংবিধানিক রীতির বিরুদ্ধে যাওয়ার আইনি পথে, তেমনই তাঁর মনে রাখা উচিত, সেই পথে যাওয়ার ফল দেশের জনমানসে কী বার্তা দিতে পারে। কোনও তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারও ব্যক্তিগত বা দলগত ক্ষোভ থাকতেই পারে;

কিন্তু তাই বলে তার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার তোপ দেগে নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা মনে করার কোনও কারণ নেই। দেশের নেতা-মন্ত্রীরাই যদি এই ভাবে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করেন, তা হলে জনসাধারণ কি কোনও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে সর্বদা মান্যতা দিতে আদৌ তৎপর হবেন?

প্রবীরকুমার ঘোষ

সল্টলেক

প্ল্যাটফর্ম নম্বর

সম্প্রতি পাতাল রেলের মতো মাটির উপরের ট্রেনেও পরবর্তী স্টেশন সম্পর্কে ইলেকট্রনিক বোর্ডে ঘোষণা হয়। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম নম্বরের ঘোষণা হয় না। নিত্যযাত্রী মাত্রেই জানেন নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের পরিবর্তে অন্য প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকলে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে এক দরজা থেকে বিপরীত দরজায় যাওয়া কী কষ্টকর। অনেক সময়ই যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামতে পারেন না। অতএব পরবর্তী স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের নম্বরও ডিসপ্লে বোর্ডে দেখানোর বন্দোবস্ত হোক।

শ্যামসুন্দর ঘোষ

বামুনআড়ি, হুগলি

দু’রকম

লোকনাথ বাবার জন্মস্থান কচুয়া সংলগ্ন স্টেশন কাঁকড়া-মির্জানগর। এখান থেকে বনগাঁ পর্যন্ত ট্রেনে ভাড়া ২০ টাকা। আবার বনগাঁ থেকে কাঁকড়া-মির্জানগর ভাড়া ২৫ টাকা। একই দূরত্বে ভাড়া দু’রকম?

মনিরুল ইসলাম তপন

বিবিপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

পানীয় জল

খরা কবলিত ও পানীয় জল সমস্যায় জর্জরিত পুরুলিয়াবাসীর বরাবরের দাবি হল বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া। সমস্যা সমাধানের জন্য পুরুলিয়া জেলা পিএইচই ডিপার্টমেন্ট ২০১৩ সাল নাগাদ সমগ্র জেলা জুড়ে খুব তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছিল। অনেক প্রত্যন্ত এলাকাতেও পানীয় জলের সুব্যবস্থা হয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আড়শা ব্লকের অধীন আড়শা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাঙামাটি, আসারামডি, পাটট্যাঁড় ইত্যাদি গ্রাম এই পানীয় জল প্রকল্পের সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত।

এই গ্রামগুলিতে ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে পাইপ লাইন বসানো হয়েছিল। এর পর রাঙামাটি গ্রামের সীমান্তে বয়ে যাওয়া কাঁসাই নদীতে খনন-কাজও হয়েছিল। কিন্তু তার পর জলের ট্যাঙ্ক বা পাম্প হাউস বানানোর কাজ শুরুই হয়নি। ‘কাজ শুরু হবে’ শুনতে শুনতে চার-পাঁচ বছর কেটে গেল।

শিবনাথ লায়েক

রাঙামাটি, আড়শা, পুরুলিয়া

রবিবারও চলুক

শালিমার-ভোজডিহ-শালিমার আরণ্যক সুপার ফাস্ট ট্রেনটি সপ্তাহের ছ’দিন চলে। যদি এটিকে রবিবারেও চালু রাখা যায়, তবে ছুটির দিনটিতে বহু বেসরকারি সংস্থার কর্মরত শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ সুযোগ পাবেন পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করে ফিরে আসার।

কৌশিক মুখোপাধ্যায়

এলআইসি শাখা আধিকারিক, ঝাড়গ্রাম শাখা

ঠিক নয়

বিজয়া রায় চৌধুরী তাঁর চিঠিতে (‘বাস্তব জানলে’, ২৬-১১) বাড়িভাড়া বাবদ আয়কে ইনকাম ফ্রম আদার লিখেছেন, কথাটি ঠিক নয়। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে সমস্ত আয়কে পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হল ১) বেতন থেকে আয় (ইনকাম ফ্রম স্যালারি), ২) গৃহ সম্পত্তি থেকে আয় (ইনকাম ফ্রম হাউস প্রপার্টি), ৩) ব্যবসা ও পেশা থেকে আয় (ইনকাম ফ্রম বিজ়নেস অ্যান্ড প্রফেশন),

৪) মূলধনী লাভ থেকে আয় (ইনকাম ফ্রম ক্যাপিটাল গেন), আর ৫) অন্যান্য সূত্র থেকে আয় (ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস)।

পত্রলেখিকা বর্ণিত বাড়ি ভাড়া প্রাপ্তিটা (২) নম্বর শ্রেণির, অর্থাৎ ‘ইনকাম ফ্রম হাউস প্রপার্টি’।

বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায়

কুলটি, পশ্চিম বর্ধমান

সাপের ভয়

শিলাবতী ও জয়পন্ডা নদীর তীরবর্তী বাঁকুড়া জেলার তালডাংড়া সিমলাপাল থানার অধীন গ্রামসমূহের বাসিন্দারা ৩-৪ বৎসর যাবৎ ‘চন্দ্রবোড়া’ নামক এক প্রকারের ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের উপদ্রবে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গ্রামগুলি কৃষিজমিবেষ্টিত হওয়ায় এবং গ্রামবাসীদের প্রায় সকলেই কৃষিকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায়, প্রায়ই সাপের কবলে পড়তে হয়। ফলে সময় মতো ধান জমিতে সেচের জল দেওয়া বা পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না।

এই বছরে সাপের উপদ্রব এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, রাধামোহনপুর, বারমেস্যা, চাঁদকুড়ি, বিবরদা প্রভৃতি গ্রামের কয়েক জন সর্পদংশনে মারা গেলেন— কেউ কেউ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

মদনমোহন সেনগুপ্ত

রাধামোহনপুর, বাঁকুড়া

রেজিস্ট্রেশন

গত ৫-১১ তারিখে উলুবেড়িয়া সাব পোস্ট অফিসের অন্তর্গত মাধবপুর ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসে একটি চিঠি রেজিস্ট্রেশন করে পাঠাতে যাই, কিন্তু পোস্টমাস্টার বলেন, গত দেড় মাস যাবৎ পোস্ট অফিস থেকে কোনও চিঠি ‘রেজিস্ট্রেশন’ হচ্ছে না, আর এই মুহূর্তে চিঠি রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা নেই।

এর পর গত ৮-১১ তারিখে উক্ত সাব-পোস্ট অফিসের অন্তর্গত বেলাড়ি পোস্ট অফিসে যাই, ওখানকার পোস্টমাস্টার বলেন, কোনও ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসেই এখন চিঠি রেজিস্ট্রেশন করে পাঠানো হচ্ছে না, কারণ এ ব্যাপারে সাব-পোস্ট অফিসের কোনও নির্দেশ নেই। ভবিষ্যতে মেশিনের সাহায্যে চিঠি রেজিস্ট্রেশন হবে, তবে তার কোনও নির্দেশ এখনও উচ্চ পোস্ট অফিস হতে আসেনি। রেজিস্ট্রেশন সাব-পোস্ট অফিস থেকে করাতে হবে।

আমার গ্রাম হতে দুই সাব-পোস্ট অফিস শ্যামপুর এবং উলুবেড়িয়া যথাক্রমে ১০ কিমি এবং ১৭ কিমি দূরে, এক জন বরিষ্ঠ নাগরিক হিসাবে আমার প্রশ্ন, কবে এ সমস্যার সমাধান হবে, কারণ রেজিস্ট্রিকরণের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো ডাকবিভাগের গ্রামীণ পোস্ট অফিসগুলির অত্যাবশ্যক কর্মের মধ্যেই পড়ে।

দেবব্রত হাজরা

মাধবপুর, শ্যামপুর, হাওড়া

ভুল বিচার

বেশ কয়েক বছর যাবৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিক্স জেনারেল (পাস) পরীক্ষার কোনও কোনও পেপারের তিন সেট করে প্রশ্ন হয়। কোনও সেট খুব শক্ত, কোনও সেট খুবই সহজ। যার ভাগ্যে যে সেট পড়বে সেই সেটে পরীক্ষা দিতে হবে। এতে ছাত্রদের মেরিট বিচার ঠিকঠাক হয় না।

মুকুল ভাণ্ডারী

ডুমুরজলা, হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE