কী আশ্চর্য! প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকাদের এখনও শাড়ি পরা বাধ্যতামূলক। এ আমরা কোন জগতে বাস করছি! অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এত পরিবর্তনের পরেও এখনও এ বাংলার অনেক প্রাইমারি স্কুল এমনকি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলো সেই মা-মাসিদের কালেই পড়ে আছে। শিক্ষিকা যত দূর থেকে আসুন, বাসে, ট্রেনে বা অন্য কোনও যানে বা হেঁটে, বৃষ্টিতে অথবা কাঠফাটা রোদে, নিয়মের কোনও নড়নচড়ন নেই। শাড়ি মাস্ট। কেন? শাড়িতে শালীনতা বজায় থাকে বেশি? আজকালকার মেয়েরা ঘরে বাইরে যেটা বেশি ব্যবহার করেন, ওড়না-সহ সালোয়ার-কামিজ়, সেটা কী দোষ করল?
আজকের মেয়েরা বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া শাড়ি পরেন না, এই পোশাকটা পরার অভ্যাস এঁদের খুব একটা নেই। তাই শাড়িকে ‘অপশনাল’ রেখে, পাশাপাশি ওড়না-সহ সালোয়ার কামিজ়ও চালু হোক। সকাল ছ’টার সময় বৃষ্টি-বাদলার দিনে, বাসে দশ কিলোমিটার পথ শাড়ি পরে পেরোনো সহজ নয়।
মৃণাল মুখোপাধ্যায়
কসবা, কলকাতা
রাস্তা খারাপ
দক্ষিণ কলকাতার নাজিরাবাদ (রুবি হাসপাতাল সংলগ্ন) এলাকায় অবস্থিত মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি একটি প্রথম সারির বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রত্যহ প্রচুর ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য লোকজন রুবি মোড় থেকে আনন্দপুর হয়ে কলেজ ও অন্যত্র যাতায়াত করেন। রুবি মোড় থেকে আনন্দপুর রাস্তার অংশটির যথাযথ সংরক্ষণ হলেও, আনন্দপুর থেকে নাজিরাবাদ পর্যন্ত রাস্তাটির দশা বেহাল।
প্রতীপ চক্রবর্তী
কলকাতা-২৮
বাইক ঝুঁকি
কাকদ্বীপ গঙ্গাধরপুর সড়ক পথ মোটর বাইক আরোহীদের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপরে থাকা ছোট নুড়িগুলো উঠে গিয়ে রাস্তার উভয় পাশে এসে হাজির হয়েছে। এর ফলে বড় গাড়িকে পাশ দিতে মোটরবাইক যখন নুড়ির উপরে চলে, ঝুঁকি বেড়ে যায়। আসলে ঠিকাদার সংস্থা নিজেরা পিচ বা বিটুমিন কিনে কাজ করতে গিয়ে কৃপণতা করে ফেলছে।
মুকুল সামান্ত
ইমেল মারফত
শ্মশান বেহাল
মালদহ জেলার সব চেয়ে বড় শ্মশান সাদুল্লাপুর মহাশ্মশান। কিন্তু এখানে ইতিউতি ছড়িয়ে থাকে বহু আবর্জনা। এ ছাড়াও রাত্রিবেলা সমস্যায় পড়েন শ্মশানযাত্রীরা, প্রবেশপথ এলাকায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নেই। শ্মশান-চত্বরের কয়েকটি স্নানের জায়গা রয়েছে, সেখানেও টিমটিম করে বিদ্যুতের আলো জ্বলে, অনেক জায়গায় জ্বলেও না। ঘাটেরও বেহাল দশা।
মঙ্গলচন্দ্র ঘোষ
মালদহ
রাস্তা, সেতু
বীরভূমের হাঁসড়া-ইলামবাজার রাস্তার অবস্থা বিগত কয়েক বছর ধরে খুবই করুণ। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কোপাই নদীর উপর গোল্টে সেতুও বিগত ৭-৮ বছর ধরে ভগ্ন দশায়।
মাহামাদুল
ইলামবাজার
জঞ্জাল জমছে
আমি পূর্ব রাজাপুর, সন্তোষপুর, ১০৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাঘাযতীন স্টেশনের অতি সন্নিকটে একটি ময়লা ফেলার ভ্যাট আছে। কিন্তু সন্তোষপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জঞ্জাল এখানে ফেলা হয় বলে রাস্তার অনেকটা জায়গা জুড়ে জঞ্জাল জমে থাকে চব্বিশ ঘণ্টা। স্টেশন সংলগ্ন এলাকা বলে এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য লোকের যাতায়াত। পাশেই শিশুদের জন্য বাঘাযতীন পার্ক। সর্বোপরি অঞ্চলটি ঘনবসতিপূর্ণ।
শিখা দে বিশ্বাস
কলকাতা-৭৫
পরিষেবা নেই
ডায়মন্ড হারবার ২নং ব্লকের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশ্চিম ভবানীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির(২৯/১২/১১) নতুন ভবন ও ১০টি শয্যা উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পরও এলাকার মানুষ তার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। সীমানা প্রাচীর না থাকায় পশুচারণ ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত কাজকর্ম বাড়ছে। স্থানীয় কানাই লাল সান্তারার দান করা প্রায় ৬ বিঘা জমিতে গড়ে ওঠা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোয়ার্টার্সও ভগ্নপ্রায়। ভাল চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৭ কিমি দূরে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ছুটতে হয়।
দেবদূত মণ্ডল
নুরপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
ছুটি পাচ্ছি না
আমরা হুগলি জেলার বিভিন্ন গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুলের শিক্ষিকা। আমরা শিশু প্রতিপালন ছুটি (সিসিএল) পাচ্ছি না। বিদ্যালয় প্রধানার কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি বলেন, এক জনের বেশি শিক্ষিকাকে এই ছুটি এক সঙ্গে দেওয়া যাবে না। ডিআই/এডিআই অফিস থেকে নাকি এ রকম বলে দেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারি আদেশে এ রকম উল্লেখ নেই। কোনও কোনও স্কুল আবার সন্তানের অসুস্থতা, পরীক্ষা ইত্যাদির কাগজপত্র পেয়েও শিক্ষিকার নেওয়া সমস্ত ছুটিটা অবৈধ (‘আনঅথরাইজ়ড’) ঘোষণা করে মাইনের টাকা কেটে নেওয়া বা চাকরি ছেদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরুপায় হয়ে শিক্ষা দফতরের সরকারি আধিকারিকদের কাছে যখন যাচ্ছি, তখন দেখছি ওই মহিলা আধিকারিকরাই নিজেরা শিশু প্রতিপালন ছুটি নিয়ে বসে আছেন। এ কেমন বিচার!
স্বপ্না রায়, সোনালী পাল ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়
চুঁচুড়া, হুগলি
এলাকার দুরবস্থা
আমাদের দমদম এয়ারপোর্ট এক নম্বর এলাকার তরুণ সেনগুপ্ত সরণি তথা ইটালগাছা রোডের বাসিন্দাদের জন্য নাগরিক পরিষেবা বলে কিছু নেই। ফুটপাত বলে কিছু নেই। ড্রেনের ওপর কিছু ভাঙাচোরা কংক্রিটের স্ল্যাব ফেলে রাখা। তাও বেশির ভাগ জায়গায় অস্তিত্ব নেই। মানে খোলা ড্রেন। তাতে আবর্জনার স্তূপ। যেটুকু তার ওপর দিয়ে হাঁটা যেত, ছোট-বড় দোকান দখল করে রেখেছে। এমনকি সোজা ড্রেনের ওপর দিয়েই স্থায়ী দোকান বসে আছে বহু কাল। ফুটপাত না থাকায় হাঁটতে হচ্ছে রাস্তার ওপর দিয়েই। দুর্ঘটনা হচ্ছে সব সময়। রাস্তার চার ধারে অবাধে প্রস্রাব করে যান কিছু মানুষ। চার দিকে তাকিয়ে টুক করে ঘরের এক প্লাস্টিক ময়লা রাস্তায় বা ড্রেনে ফেলে দিয়ে যান। রাস্তায় কোনও সংস্কারের কাজ হলে বা পাইপ পোঁতা হলে সেগুলির বর্জ্য ধুয়ে যাওয়া পর্যন্ত পড়ে থাকে রাস্তার দু’ধারেই। ভাঙা ফুটপাতের ওপরেই নিয়মিত বড়, ছোট গাড়ি দাঁড় করানো থাকে। ফাঁকা জায়গা পেলেই নির্মাণ হচ্ছে। তার সমস্ত পাথর, বালি রাস্তায় জমা থাকছে। কিছু গাছ লাগানো হয়েছিল রাস্তার দু’দিকে। সেগুলির অনেকগুলোই দেখভালের অভাবে, আর কিছু সিমেন্ট বালি ইট ফেলে মেরে ফেলা হয়েছে।
সুচরিতা সাহা
দমদম এয়ারপোর্ট, গেট নং ১
তার কী হবে?
রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ হলে ২৯ নম্বর থেকে সোজা ৪ নম্বরে উঠে আসবে। ভাল কথা। কিন্তু আমাদের রাজ্য যে সব ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের থেকে পিছিয়ে, তাদের আগে আসবে কী উপায়ে?
অভিজিৎ ঘোষ
কমলপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy