Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: জনতার দায়

একটা সময়ে দূষণ এত ভয়ানক রূপ নেয়নি, তখন সর্বনাশ আসছিল লঘুপায়ে। আজ কিন্তু দূষণের সঙ্গে মানুষের আশু বাঁচা-মরার প্রশ্ন ঝুলছে সামনে। তাই দূষণের টুঁটি চেপে ধরতে পারে একমাত্র জনসচেতনতা।

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০৭
Share: Save:

সম্পাদকীয় ‘ব্রহ্মদৈত্য’ (১২-১১) নিবন্ধটিতে বাজি ও ডিজে রুখতে প্রশাসন এবং রাজনীতিকদের ভূমিকার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের দায় যেন অপেক্ষাকৃত কম। সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, কোথায় কোন গলিতে কী পাঁচিলঘেরা বাড়িতে ক্র্যাকার ফাটানো হচ্ছে, জনে জনে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। কেউ বাজি ফাটিয়ে অকুস্থলে দাঁড়িয়ে থাকবেন, এমন ভাবা বাতুলতা। কাজেই যে কোনও দূষণ দমনের চাবিকাঠিটি জনসাধারণের করধৃত। ডিজে বা বাজি, দুটোই শ্রবণ এবং হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি করে। স্নায়ুমণ্ডলীর উপরেও এদের প্রভাব মারাত্মক। ক্ষতির পরিমাণ সব সময় সঙ্গে সঙ্গে ফুটে ওঠে না, তাই এই আত্মঘাতী খেলা চলছেই। একটা সময়ে দূষণ এত ভয়ানক রূপ নেয়নি, তখন সর্বনাশ আসছিল লঘুপায়ে। আজ কিন্তু দূষণের সঙ্গে মানুষের আশু বাঁচা-মরার প্রশ্ন ঝুলছে সামনে। তাই দূষণের টুঁটি চেপে ধরতে পারে একমাত্র জনসচেতনতা। কারও কারও মনোভাব: ‘‘পরিবেশ-বিজ্ঞানীরা মিথ্যেই অনেক রকম ভয় দেখান। তাই বলে উৎসবে একটু আনন্দ করব না?’’ এই ছিদ্র পথ দিয়েই ঢুকছে কালনাগিনী। আজকাল শুধু পুজো-আচ্চা নয়, পারিবারিক আনন্দেও বোম ফাটিয়ে, ডিজে এনে ‘মস্তি’ করার চল হয়েছে। এমন দিনকে আমরা অভ্যর্থনা জানাচ্ছি, যখন শোকপালনের লোক থাকবে না। মাথার দিক না লেজের দিক দিয়ে দৈত্যটাকে আক্রমণ করতে হবে, সেই তর্কে মজে না থেকে চলুক লাগাতার ব্যাপক প্রচার এবং তৎপরতা। প্রশাসন ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। লক্ষ্য, জনসচেতনতা। তা হলেই নিস্তেজ হয়ে পড়বে দূষণদৈত্য। নয়তো মরসুমি লম্ফঝম্প আর অসার আস্ফালনে বছর বছর অশ্বডিম্বই প্রসূত হবে। সুশীল জনগণের হাতে থাকবে পেনসিল।

বিশ্বনাথ পাকড়াশি

শ্রীরামপুর-৩, হুগলি

ধন্যবাদ

2 গত ৪-৫ বছর ধরে কলকাতা বিমানবন্দরের পাশে যশোর রোড ধরে যাঁরা রোজ যাতায়াত করেন তাঁদের কাছে এই অঞ্চলটা পেরোনো একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে কখনও কখনও ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা লেগে যেত। রাত এগারোটাতেও যে জ্যাম সকাল আটটাতেও সেই জ্যাম। অনেক আবেদন নিবেদন, অভিযোগ, লেখালিখির পরে অবশেষে প্রশাসনের নজর পড়ে এবং সম্প্রতি এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এখন এই রাস্তাটুকু পেরোতে সময় লাগে ৫ থেকে ১০ মিনিট। মাত্র দুটো কাজ করতে হয়েছে এই সমস্যা সমাধানের জন্য। ১) আড়াই নম্বরের কাটা গেটের পাশে আর একটা কাটা গেট করা হয়েছে কলকাতা থেকে আসা বিরাটিমুখী গাড়িগুলোকে বার করার জন্য। আগে একটা গেট দিয়েই গাড়ি যাতায়াত করত, ফলে যখন এক দিকের গাড়ি যেত তখন অন্য দিকের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকত। এর ফলে কখনও কখনও যশোর রোড ছাড়িয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এবং বিরাটি মোড় পর্যন্ত জ্যাম তৈরি হত। ২) আড়াই নম্বরের কাটা গেটের পর থেকে যশোর রোডের এক নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তা খুব খারাপ ছিল। সেই রাস্তা এখন এত ভাল হয়েছে যে গাড়ির গতি অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রশাসনকে, বিশেষ করে বিধাননগর সিটি পুলিশকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এ বার এই অঞ্চলে একটি উড়াল পুলের ব্যবস্থা করলে আগামী দিনে আর জ্যাম-যন্ত্রণায় কাউকে ভুগতে হবে না।

সমীর বরণ সাহা

কলকাতা-৮১

রাত্রিনিবাস

2 রোগীর পরিবারের লোক জন থাকার জন্য এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ভিতর পরিষ্কার পুকুরের উত্তর প্রান্তে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তিন তলা বিশিষ্ট রাত্রিনিবাস গড়ে উঠেছে। স্ত্রী-পুরুষ সকলের জন্য আলাদা থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। তবে এক রাতে জন প্রতি ৭৫ টাকার টিকিট। শুধুমাত্র ইমারজেন্সিতে ভর্তি রোগীর বাড়ির লোকের জন্যই এই রাত্রিনিবাস। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ওই ৭৫ টাকাও না দিতে পেরে খোলা আকাশের নীচে শীতের রাত কাটাতে বাধ্য হন। সেই মানুষগুলির কথা ভেবে ভাড়া বা টিকিটের দাম হ্রাস করা হোক।

অমল সরকার

কৃষ্ণনগর, নদিয়া

অবহেলা

2 গত সপ্তাহে দার্জিলিং থেকে কালিম্পং হয়ে লাভা লেলেগাঁওয়ের পথে আসছিলাম। প্রাকৃতিক দৃশ্যের তুলনা হয় না। কিন্তু প্রায় বারো-চোদ্দো বছরের অনাদরে অবহেলায় পথের অবস্থা দুর্গম বললে কম বলা হবে। বাঁকে বাঁকে মৃত্যুর ফাঁদ। কয়েকটি জায়গায় বাঁক ভয়ঙ্কর খাড়া ও সঙ্কীর্ণ, মাঝে মধ্যে উল্টো দিক থেকে কোনও লরি-ট্রাক এলে ড্রাইভার এবং পর্যটকদের ইষ্টনাম করা ছাড়া কিছু করার থাকে না। তার উপরে লেলেগাঁওয়ের জঙ্গলে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২৫ টাকা। ভেতরে নড়বড়ে একটি ঝুলন্ত সেতু আছে মাত্র, তাও ওয়ান-ওয়ে। যাওয়ার ও ফেরার পথ এবড়োখেবড়ো, কোথাও কোনও রেলিং নেই। এন্ট্রি ফি ২৫ টাকা হলেও পর্যটকদের জন্য ২৫ পয়সাও কর্তৃপক্ষ ব্যয় করে বলে মনে হয় না। রাধাকৃষ্ণ গোস্বামী

কলকাতা-১১০

বেলপুকুর

2 হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার অন্যতম বাজার বেলপুকুর। ব্যবসায়ীদের জন্য নেই কোনও শৌচালয়, বা জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা। বাজারের নাম যে পুকুরের নামে, সেই পুকুরের পাশেই ফেলা হচ্ছে বাজারের আবর্জনা। সেই জঞ্জালের উপরেই চলে প্রস্রাব। জঞ্জালের চাপে নিমেষেই ভরাট হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী বেলপুকুর। পাশেই অযোধ্যা বেলপুকুর হাইস্কুল।

অর্পণ দাস

রামনগর, শ্যামপুর, হাওড়া

সেতুর হাল

2 হুগলির হরিপাল স্টেশন থেকে ৩ কিমি দূরে কানা নদীর উপরে ভগবতীপুরে ১৮ নং রোডের যাওয়ার রাস্তায় সেতুটি বহু পুরনো, দু’দিকের গার্ডের দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। একটি বাস গেলে দু’দিকে পাশ দেওয়ার জায়গা নেই। সেতুটির উপর দিয়ে হরিপাল-চুঁচুড়া, হরিপাল-ধনিয়াখালির বাস, ট্রেকার অটো, টোটো-সহ অজস্র যানবাহন যাতায়াত করে। যে কোনও মুহূর্তে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রায় দশ বছর আগে, এই সেতুটি খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে পাশেই চওড়া সেতু নির্মাণ হয়ে পড়ে আছে। অথচ সেটি চালু করা হচ্ছে না। রাধাকান্ত কর্মকার

হরিপাল, হুগলি

এক বারে

2 পঞ্চায়েত ভোটের আগে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সারা মাসের রেশন এক বারে নেওয়া যাবে। অবিলম্বে এটি কার্যকর করা হোক।

আনসার আলাম

গোপীগঞ্জ, প: মেদিনীপুর

রাস্তা অসহ্য

2 বালি হল্ট স্টেশনের নীচে থেকে রাস্তাটি বালি স্টেশনের কালভার্ট অবধি। রাস্তাটির দুই ধারে বেআইনি ভাবে অনেক দোকান হয়েছে, এমনকি রেলের কোয়ার্টারের পাঁচিল ভেঙে দোকান বসে গিয়েছে। রেলওয়ে নর্দমার ওপরে পাকাপাকি বেদখল দোকান গড়ে উঠেছে। ফলে নর্দমা পরিষ্কার হয় না দীর্ঘ দিন ধরে। যাতায়াত করা ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এ ছাড়াও টোটো, রিকশা, দু’চাকা, চার চাকা গাড়ি ও সাইকেল চলাচল করে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যে যাতায়াত করতে হয়।

অভিজিৎ দাস

বালি, হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,

কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Cracker Responsibility
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE