Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: উঁচু মূর্তি হলেই...

একটা প্রশ্ন থেকেই যায়— ৩৩০ কোটি টাকার মূর্তি কি মানুষের মনে রামের প্রতি শ্রদ্ধা বেশি জাগাবে? মনে যদি সত্যি ভক্তি থাকে, মানুষ দামি ও উঁচু মূর্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষায় থাকবে না।

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০১:২২
Share: Save:

‘৩৩০ কোটির রাম মূর্তির জন্য দরবার আদিত্যনাথের’ (৩১-৩) পড়লাম। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সরযূ নদীর ধারে এই বিপুল টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার উঁচু রামের মূর্তি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে, মূর্তি তৈরির ব্যয়ভার বহন করবে কিছু কর্পোরেট, এমন আশা করা হচ্ছে। এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়— ৩৩০ কোটি টাকার মূর্তি কি মানুষের মনে রামের প্রতি শ্রদ্ধা বেশি জাগাবে? মনে যদি সত্যি ভক্তি থাকে, মানুষ দামি ও উঁচু মূর্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষায় থাকবে না— এই বোধটুকু আশা করা যায় সবার কাছে। সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা আছে, ৩৩০ কোটি টাকায় তার খানিকটা হলেও সমাধান হয়। ওই টাকাটা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হলে বোধ হয় রাম অনেক বেশি আশীর্বাদ করবেন।

রত্না রায়

নারায়ণপুর, বালুরঘাট

ডিসপ্লে বোর্ড

প্রায় মাস চারেক হল, বর্ধমান রেল স্টেশনের ডিসপ্লে বোর্ডগুলি কার্যত খারাপ। এর ফলে যাত্রীদের অসুবিধা বেড়ে গিয়েছে। শোনা আর দেখার মধ্যে তফাত আছে। মাইক্রোফোনের ঘোষণা ট্রেনের শব্দ ও যাত্রীদের হাজার কলরবে অনেক সময়ই চাপা পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কোন ট্রেন কত নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে তার নির্দেশিকা ডিসপ্লে বোর্ডে দেখতে পেলে অনেক সুবিধে হয়।

পদ্মা দে

মিঠাপুকুর, পূর্ব বর্ধমান

মদের দোকান

বাঁকুড়া দুর্গাপুর এসএইচ ঌ ও এনএইচ ৬০-এর সংযোগস্থল হেবির মোড় হল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দুটি বিএড কলেজ, কয়েকটি বিদ্যালয়-সহ আশেপাশের ২০-২২টি গ্রামের মানুষের বাসস্ট্যান্ড। প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ ও ছাত্রছাত্রী এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। এই বাসস্ট্যান্ডের তথা এনএইচ-এর ৩০ ফুট দূরে রয়েছে দেশি মদের দোকান, ফলে সন্ধ্যা হলেই এলাকাটি চলে যায় মাতাল ও সমাজবিরোধীদের দখলে। রাস্তার দখল নেয় কয়েকশো মাতাল, ফলে ছাত্রছাত্রী ও মহিলাদের যাতায়াত করতে হয় কটূক্তি সহ্য করে। পুরুষদেরও গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে পেরোতে হয়।

দীর্ঘ কয়েক মাস মদের দোকানটি বন্ধ থাকায় এলাকাটিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করছিল, কিন্তু সেটি আবার খুলেছে। ফলে এলাকাবাসীদের জীবন আগের মতো যন্ত্রণাদায়ক।

মনোজকুমার মণ্ডল

হেবির মোড়, বাঁকুড়া

উপদ্রব

আমি কলকাতার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরীমোহন অ্যাভিনিউতে লেডিজ পার্ক অঞ্চলে আছি অনেক দিন। এই অঞ্চলের কিছু কিছু পরিবর্তন বেশ পীড়াদায়ক হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর আগেও এই রাস্তা সংলগ্ন ফুটপাত ছিল পথচারীদের স্বর্গ। আজ বেশ কিছু দিন ধরে দেখছি তা বিভিন্ন ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। যত্রতত্র দোকান গজিয়ে উঠছে, যা অবশ্যই পার্ক সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যহানি ঘটাচ্ছে। বাসিন্দাদের উদ্যোগে এখানে পার্ক সংলগ্ন একটি সুলভ শৌচালয় গড়ে তোলা হয়েছিল। ঠিক তার কাছেই ফুটপাতকে প্রথমে একটি, ক্রমে দু’টি দূরপাল্লার বাসের বেসরকারি টার্মিনাস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাসগুলিতে প্রচুর মাল ওঠানো এবং নামানো হয়। এই সব কাজকর্ম পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচলকে ব্যাহত করছে। পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি চায়ের দোকান আজ অল্প কিছু দিন ধরে গজিয়ে উঠেছে। চা-পিপাসুদের ভিড়ে পল্লিবাসীদের স্বাভাবিক চলাচল শুধু ব্যাহত হচ্ছে না, পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। অন্য দিকে এই পার্কে প্রায় রাত তিনটে অবধি ছেলেরা ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলে। তাদের শোরগোলে রাতের ঘুমও ব্যাহত হচ্ছে। কোনও সভ্য দেশে এই রকম চলে কি না আমার জানা নেই। পার্কের পশ্চিম দিক, যে দিকে অনেক বাড়ি রয়েছে, সেখানে গভীর রাত্রে মালবোঝাই লরি দাঁড়ায় এবং সশব্দে মাল খালাস করা হয়। সকাল হলে ছোট ছোট ভ্যানগাড়ি এসে সেই মালপত্র কোথাও নিয়ে যায়।

নন্দিতা রায়

কলকাতা-১৪

বাস কই?

গত ১৯৯৬ থেকে আমি বোড়াল রক্ষিত মোড়ের বাসিন্দা। যখন এখানে বসবাস করতে আসি, তখন এখানে জয়েনপুর মিনি, নাকতলা মিনি, ৮০বি প্রাইভেট বাস চলত, আর ছিল অটো। বিগত বছরগুলিতে বোড়ালে প্রচুর আবাসন, বাড়ি ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, স্কুল গড়ে উঠেছে। প্রচুর জনসংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে একের পর এক বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন পরিবহণ বলতে একমাত্র ভরসা অটো। বিশেষ করে অফিস ও স্কুল-কলেজের সময় অবস্থা খুবই দুর্বিষহ।

কৃষ্ণকান্ত রায়

ই-মেল মারফত

মালিকের সমস্যা

‘ধুঁকছে, তবু ছুটছে বাস’ (২৮-৩) পড়লাম। বাস মালিক এবং কর্মচারীরা দু’পয়সা রোজগার করার জন্য বাস চালান। সরকারি বাসের মতো বেসরকারি বাসে ভর্তুকি নেই। টিকিট বিক্রিই সম্বল। বছর পাঁচেক আগে সরকার শেষ বার ভাড়া বাড়িয়েছিল। ভাড়া বাড়ানোর আগে ভাড়া নির্ণয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানোর কয়েক দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই ভাড়া কমিয়ে প্রতি স্টেজে মাত্র এক টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল। বাসগুলি ওই কারণেই ধুঁকছে। আগে তেলের পয়সা, তার পর কর্মচারীদের কমিশন ও ব্যাঙ্কের ইনস্টলমেন্ট। বাস মালিকের সংসার খরচও আছে। তার পর যদি উদ্বৃত্ত থাকে তবেই রক্ষণাবেক্ষণে খরচ করা। সেই টাকা কি থাকে? বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বললেই জানতে পারবেন। কাগজে খালি সমস্যাটা নিয়ে লিখবেন, সমাধান নিয়ে দু’লাইন লিখবেন না?

দীপঙ্কর বসু

কলকাতা-৬৮

ভোটার কার্ডে

আমার ভোটার কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন এবং নাম ও পদবির বানান ঠিক করার জন্য, গত সেপ্টেম্বর (২০১৭) মাসে জারি হওয়া সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় নিমতা হাই স্কুলে ফর্ম পূরণ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্বাচনী বুথ স্তরের আধিকারিকের কাছে জমা দিই ২০১৭-র ১৯ নভেম্বর। হিয়ারিংয়ের জন্য ২৭ নভেম্বর বিরাটি তরুণ সেনগুপ্ত স্মৃতি ভবনে উপস্থিত হতে বলা হল। ওই দিন ওখান থেকে বলা হয়, আগামী ৫-১-১৮ তারিখে নিমতা হাই স্কুলে পরিবর্তন হওয়া লিস্ট টাঙিয়ে দেওয়া হবে। ১১-১-১৮ তারিখে লিস্ট টাঙানো হয়। যথারীতি পুরনো ভোটার কার্ড অনুযায়ী বানান প্রভৃতি থেকে যায়। কেবল বর্তমানে দেওয়া ছবি ঠিকঠাক হয়েছে। কবে ত্রুটি সংশোধন হয়ে নতুন ভোটার কার্ড পাওয়া যাবে জানি না। এখন আমার বয়স ৭৩ বছর।

বিজনকুমার বসু

কলকাতা-৪৯

ছুটি কমে গেল

আমি বর্ধমান জেলার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। এ বছর ছুটির তালিকা অনুযায়ী মোট ৬৫টি ছুটির মধ্যে ছ’দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করতে মাদ্রাসায় আসতে হবে। ছুটির সংখ্যা হয়ে গেল ৫৯। আবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোট হবে ১ মে। ছুটির তালিকা অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল, ১ মে, এবং ২ মে যথাক্রমে বুদ্ধপূর্ণিমা, মে দিবস এবং সব-এ-বরাত-এর ছুটি। অথচ ওই তিন দিন আমাদের ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। ছুটির সংখ্যা হল ৫৬।

কৌশিক দে

বর্ধমান

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Yogi Adityanath Uttar Pradesh Voter Card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE