টেমসের পাড় মাতাচ্ছে বাংলার দুর্গাপুজো
দুর্গাপুজো আসতে এখনও দেরি আছে, কিন্তু লন্ডনবাসী এখনই উৎসবের আমেজে। সাউথ ব্যাঙ্কে হচ্ছে প্রদর্শনী ‘বাংলার দুর্গা’। কলকাতার দুর্গাপুজো ঘিরে দিন দশেকের যে সৃষ্টিশীলতা, তা উঠে এসেছে এখানে— প্রতিমা সাজানো, মণ্ডপসজ্জা, আলোকসজ্জা, গান, নাটক, সাজগোজ, খাবার, সব। পুজোয় কলকাতা হয়ে উঠুক পর্যটকদের গন্তব্য, প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য এটাই। ন্যাশনাল থিয়েটারের বাইরে বিরাট বিরাট হোর্ডিং জুড়ে দুর্গোৎসবের ছবি, পুজোর নানান দিক নিয়ে তাতে লেখাও আছে অনেক কিছু। সাউথ ব্যাঙ্ক লন্ডনের সংস্কৃতিকেন্দ্র, পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে এখানে। গঙ্গা আর টেমস, দুই নদীর পাড়ের দুর্গাপুজোকে মেলানোই ‘রিভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রকল্পের ছায়ায় এই প্রদর্শনীর মূল ভাবনা। আয়োজক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগ ও ব্রিটিশ কাউন্সিল, প্রদর্শনীর কিউরেটর আলি প্রিটি ও কমলিকা বসু।
আগমনি: লন্ডনের সাউথ ব্যাঙ্কে দুর্গাপুজোর প্রদর্শনী
লন্ডনে শিখ ইতিহাস
লন্ডনে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ়-এ চলছে প্রদর্শনী ‘এম্পায়ার অব দ্য শিখস’। শিখ ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত দুর্দান্ত সব শিল্পসামগ্রী আছে এতে। আছে রণজিৎ সিংহের তরবারি, তার সোনারুপো দিয়ে তৈরি হাতলে খোদাই মহারাজার মৃগয়ার ছবি। আছে মহারানি জিন্দন কৌরের দুল, হার। ‘কোহিনুর আপনার হাতে তুলে দিচ্ছি’, লেখা আসল নথিটিও আছে। দাবিন্দার তুর-এর ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা এই সব কিছুই জনসমক্ষে এল এই প্রথম। প্রদর্শনীতে ঢোকার মুখেই রাখা রণজিৎ সিংহের গোলন্দাজ বাহিনীর একটি হাউইটসার কামান, তাতে মাদার-অব-পার্ল, পিতল আর ইস্পাতের কারুকাজ। দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধের পর ব্রিটিশ সেনাধ্যক্ষ জেনারেল স্যর হিউ গফ-কে এটি উপহার দেওয়া হয়েছিল। ৩৬ বছর বয়সি তুর ব্রিটেনের তরুণ শিখ প্রজন্মের প্রতিনিধি, শিখ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিশেষ আগ্রহী। ১৯৯৯-এ সতেরো বছর বয়সে ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আলবার্ট মিউজ়িয়ামের ‘দি আর্ট অব দ্য শিখ কিংডমস’ প্রদর্শনীর স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন, তখনই সংগ্রাহক হিসেবে যাত্রা শুরু তাঁর। দশ বছরের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন ব্রিটেনের সব চেয়ে বিখ্যাত শিখ সামগ্রী সংগ্রাহক। এখন বহু মিউজ়িয়াম তাঁর থেকে শিল্পসামগ্রী ধার নেয়।
ব্রেক্সিট-বিরোধী
প্রভাবশালী: জিনা মিলার
ব্রেক্সট-বিরোধী উজ্জ্বল এক মুখ তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত জিনা মিলার ২০১৬ সালে প্রচারের আলোয় আসেন সরকারকে আদালতে টেনে নিয়ে গিয়ে। তাঁর যুক্তি ছিল, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পদ্ধতি শুরু করার আগে পার্লামেন্টে ভোটের প্রয়োজন ছিল। হাই কোর্ট জিনার পক্ষে রায় দেয়। সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল, কিন্তু গত বছর সুপ্রিম কোর্টও জিনার পক্ষেই মত দিয়েছে। ব্রেক্সিটবাদী দক্ষিণপন্থীরা জিনাকে ক্রমাগত পাঠাত কুৎসিত ইমেল, দিত খুনের হুমকিও। জিনা সম্প্রতি লিখেছেন আত্মজীবনী ‘রাইজ়: লাইফ লেসনস ইন স্পিকিং আউট’। ১৯৬৫-তে ব্রিটিশ গায়ানায় জন্ম জিনা নাদিরা সিংহের। তাঁর পূর্বপুরুষ ভারত থেকে ব্রিটিশ গায়ানায় এসেছিলেন শ্রমিকের কাজ নিয়ে। ইংল্যান্ডের বোর্ডিং স্কুলে পড়ার সময় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন জিনা। আইন পড়ে ক্রিমিনাল ব্যারিস্টার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরে পেশা পরিবর্তন করেন। ২০০৯-এ স্বামী অ্যালান মিলারের সঙ্গে একটা ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম খোলেন, ২০১৫-য় লেবার পার্টির নির্বাচনী ইস্তাহারের খসড়া তৈরিতেও সাহায্য করেছেন। গত বছর শুরু করেছেন ‘বেস্ট ফর ব্রিটেন’ নামে একটি সংস্থা। এ বছর হয়েছেন ব্রিটেনের ‘সব চেয়ে প্রভাবশালী কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিত্ব’।
নারীবাদী জেমস বন্ড?
অস্কারজয়ী পরিচালক ড্যানি বয়েল নতুন জেমস বন্ড ছবি পরিচালনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন, মতপার্থক্যের কারণে। তবে আসল কারণটার দিকে ইঙ্গিত করেছেন কেউ কেউ। বয়েল চাইছিলেন জেমস বন্ডকে ‘#মিটু’ যুগে এনে ফেলতে। এ দিকে জেমস বন্ডের নারীসঙ্গপ্রীতি সবার জানা, ব্যাপারটা ঠিক খাপ খাবে বলে মনে হচ্ছিল না। জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি এবং ছবির প্রযোজকরা চাইছেন, বন্ড যেমন ছিলেন তেমনই থাকুন, নারীবাদী হয়ে কাজ নেই।