Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Newsletter

এখনও নিস্পৃহ থাকলে বিপদ কিন্তু খুব কাছে

বাতাসের ক্রমবর্ধমান বিষকণা যে ভাবে বিপদঘণ্টা বাজাতে শুরু করেছে, তাতে আর কিন্তু নিস্পৃহ থাকার সময় নেই।

প্রাতর্ভ্রমণে যাঁরা বেরোচ্ছেন, সুস্থতার বদলে একরাশ অসুস্থতা ফুসফুসে ভরে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। ফাইল চিত্র।

প্রাতর্ভ্রমণে যাঁরা বেরোচ্ছেন, সুস্থতার বদলে একরাশ অসুস্থতা ফুসফুসে ভরে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। ফাইল চিত্র।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৫৫
Share: Save:

বিপদ সঙ্কেতটা অনেক দিন ধরেই আসছিল অনেক রকম উত্স থেকে। আবার এল সতর্কবার্তা, কলকাতার বাতাসের ক্রমবর্ধমান বিষ নিয়ে। ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন গবেষকরা। অবিলম্বে এই বিষের রমরমা রোখার জন্য সক্রিয় হতে না পারলে প্রিয় মহানগর কিন্তু আর প্রিয় থাকবে না।

যখনই পরীক্ষা হচ্ছে, যে অবস্থায় পরীক্ষা হচ্ছে, যে মাপকাঠিতে পরীক্ষা হচ্ছে, কলকাতার হাওয়া পাশ করতে পারছে না। শীতকাল আসতেই সমস্যা আরও বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। উত্তর কলকাতা হোক বা দক্ষিণ, বাতাসে ভাসমান বিপজ্জনক কণার পরিমাণ শহরের যে কোনও প্রান্তেই বিপদসীমার অনেক উপরে। শীত বাড়তেই রাতে যত্রতত্র আগুন পোহানোর প্রবণতা বেড়েছে। তাতে বাতাসে আরও বাড়ছে বিষ কণার পরিমাণ। ভোরের দিক থেকেই দূষণে ভারী হয়ে থাকছে কলকাতার বাতাস। প্রাতর্ভ্রমণে যাঁরা বেরোচ্ছেন, সুস্থতার বদলে একরাশ অসুস্থতা ফুসফুসে ভরে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।

পরিস্থিতি কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি শুধু কলকাতায় উদ্বেগজনক এমন নয় ঠিকই। দিল্লি-সহ দেশের অন্যান্য মহানগরও দূষণে হাঁসফাঁস করছে। কিন্তু কলকাতার দূষণ যে ভাবে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করছে দেশের জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের দূষণের সঙ্গে, অন্য কোনও মহানগরের হাল ততটা সঙ্কটজনক নয়। মনে রাখতে হবে দিল্লি বা অন্য অনেক শহরে শিল্পজ দূষণের পরিমাণ যতটা, কলকাতায় ততটা হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও যে ভাবে বাড়ছে বিষকণার পরিমাণ, তা নিয়ে পরিবেশ দফতর বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এখনও উদ্বিগ্ন না হলে নাগরিকের উদ্বেগ বাড়তে বাধ্য।

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন: শহরে প্রাতর্ভ্রমণে বিপদ সঙ্কেত, ভোরে বিষ বাতাস ঢুকছে শরীরে

দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য দিল্লি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে ইতিমধ্যেই। কখনও যত্রতত্র আগুন জ্বালানোয় নিষেধাজ্ঞা, কখনও রাস্তায় গাড়ি বার করার প্রশ্নে জোড়-বিজোড় বিধি লাগু করা, ডিজেলচালিত যানবাহন কমাতে সিএনজির ব্যবস্থা করা— দিল্লি এ সব পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। কলকাতায় এ সবের অনেক কিছুই এখনও সম্ভবত ভাবনার স্তরেই আসেনি। বাতাসের ক্রমবর্ধমান বিষকণা যে ভাবে বিপদঘণ্টা বাজাতে শুরু করেছে, তাতে আর কিন্তু নিস্পৃহ থাকার সময় নেই। বিষ বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হওয়া নাগরিকের ফুসফুস রোজ একটু একটু করে অসুস্থ হচ্ছে। অবিলম্বে প্রশাসন যদি পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী না হয়, তা হলে কলকাতার জন্য কিন্তু বিপর্যয় অপেক্ষায় রয়েছে। সেই বিপর্যয় খুব দূরেও নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE