আমার বাড়ি হাওড়ার হাটপুকুরে। আমিও নারায়ণ দেবনাথের মতো হাওড়া জেলারই বাসিন্দা। আমার বয়স যখন বছর ২০, তখন আমি আনন্দবাজারে লেখালিখি করছি। সেটা ১৯৬২ সাল। তখন ভারত-চিন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সেই সময় আমি এক বার ‘শুকতারা’র দফতরে যাই লেখা জমা দিতে। সেখানেই নারায়ণ দেবনাথের সঙ্গে আমার আলাপ।
তিনি যখন জানতে পারলেন আমিও ওঁর মতো হাওড়ারই ছেলে, তখন ওঁর সঙ্গে আমার আলাপ খুব জমে যায়। আমি সেই সময় রেলে কাজ করতাম। সেই সময় আমার পোস্টিং ছিল শালিমারে। তখন শিবপুর হয়ে শালিমার যেতাম আমি। সেই সূত্রে মাঝে মাঝেই ওঁর বাড়িতে যেতাম। আমরা অনেক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। প্রচুর গল্প-আড্ডা হত আমাদের। তবে ইদানীং বয়সজনিত কারণে ওঁর বাড়িতে তেমন যাওয়া হত না।