দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ও স্পর্ধা যে বাড়ছে দিনের পর দিন, এটা বুঝতে রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
দমদম পার্কে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা এসে গুলি চালিয়ে চলে গেল এক প্রোমোটারকে। এবং আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্রটা। আইনের শাসনের দাপটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ও স্পর্ধা যে বাড়ছে দিনের পর দিন, এটা বুঝতে রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এই জায়গাটাতেই এ বার নজর দেওয়ার দরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। সাম্প্রতিক কালেই খাস কলকাতার বুকে এ রকমই বেশ কিছু ঘটনা আমাদের নাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এই সব দৌরাত্ম্যমূলক ঘটনা আসলে দেখিয়ে দেয় প্রশাসনের জীর্ণ চেহারাটাকেই।
এই রাজ্য এক সময় মস্তানরাজের দাপট দেখেছে। সে দাপটের তীব্রতার রেশ জনজীবনে দীর্ঘ দিন থেকে এসেছে। পরে সেই মস্তানরাজের দাপট কমতে দেখে এক সময় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছে এই বাংলাই। পুলিশকে এক দল মস্তানের হুমকিতে যে দিন টেবিলের তলায় লুকোতে হয়েছিল, সে দিন কেউ কেউ একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু বিষবৃক্ষের বীজ যে রোপণ তত ক্ষণে হয়ে গিয়েছে, তার আঁচ বোধহয় পাননি তাঁরা। এ হেন ঘটনার পরেও শাস্তি দূরের কথা, মস্তানেরা যখন বুক ফুলিয়ে হেঁটেছিল, তখনই সম্ভবত দমদম পার্কের প্রকাশ্য গুলিচালনার ঘটনার প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিষ ছড়িয়ে পড়ল গোটা বাংলায়। আমরা ক্রমশ দেখতে লাগলাম, পুলিশের অসহায় আত্মসমর্পণকে।
এমন নয় যে পুলিশ এই দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয় যেখানে ছাতার মতন কাজ করে, সেখানে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে যায়। এখনও সময় আছে, সাবধান না হলে ভবিষ্যতে আবারও এ দৃশ্য দেখার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সরকারের কাছে এ রাজ্যে আম আদমির প্রার্থনা এখন সেটাই।
আরও পড়ুন: সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: দমদম পার্কের জমজমাট এলাকায় দিনের আলোয় প্রোমোটারকে গুলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy