ফের হোমের এক আবাসিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলির গুড়াপে।
দু’বছর আগে গুড়াপেরই একটি হোমে আবাসিকদের ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। এ বারও গুড়াপের ভাস্তারার একটি হোমের কর্ণধারের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির পড়ুয়া এক আবাসিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম স্যামসন ইসলাম। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে স্যামসন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাস্তারার রথতলায় ১৭ ও ১৮ নম্বর রুটের বাস রাস্তার ধারে বছর তিনেক আগে হোমটি তৈরি হয়। বাবা সাইমনের মৃত্যুর পরে তাঁর স্মৃতিতে বাড়ির সামনেই ওই হোম তৈরি করেন বছর পঁয়ত্রিশের স্যামসন। মালদহেও তাঁদের একটি হোম রয়েছে। স্যামসনের মা শান্তাদেবী সেটি দেখাশোনা করেন। গুড়াপের হোমে জনা পনেরো আবাসিক থাকেন। নির্যাতিতা এবং আর একটি মেয়ে বাদে সকলরেই বয়স দশ বছরের কম। বালক এবং কিশোরদের জন্য পৃথক বন্দোবস্ত রয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও হোম সূত্রের খবর, নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকা মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার কথা বলে হোম থেকে বের হয়। এর পর সে জেলার চাইল্ড হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যেরা তাকে গুড়াপ থানায় নিয়ে যান। সেখানে সে অভিযোগ জানায়, এক মাস ধরে স্যামসন তার উপর অত্যাচার করেছে। চাইল্ড হেল্পলাইনের কমর্ীর্ সুজাতা দাস থানায় স্যামসনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যাতেই স্যামসনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতিতা এবং ধৃত যুবকের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর পর বুধবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। জেলা সমাজকল্যাণ দফতরের দাবি, হোমটি তাদের তালিকাভুক্ত নয়। কিন্তু প্রশাসনের ছাড়পত্র না নিয়ে কেমন করে চলছিল হোমটি? কেন এ নিয়ে নজরদারি করা হয়নি এত দিন? এ সব প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy