চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।
অবৈধ খনির ভিতরে ৬ জন শ্রমিক থাকা অবস্থাতেই তার মুখ ভরাট করে দিয়েছিল পুলিশ। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে মাটি কেটে তাঁদের বের করলেন গ্রামবাসীরা।
আসানসোলের জামুড়িয়ায় শুক্রবার সকালে কুয়ো খাদানে কয়লা কাটতে নেমেছিলেন পরিহারপুর গ্রামের ছয় যুবক। সকাল ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে বুল ডোজার দিয়ে তা ভরাট করে দেয়। পুলিশের দাবি, কেউ ভিতরে রয়েছে কি না, তা হেঁকে জানতে চাওয়া হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। তাই মাটি-পাথর দিয়ে খাদান বুজিয়ে চলে যায় পুলিশ। তখন শেখ তাজবুল, শেখ ফুরহান, শেখ হাবুল, শেখ সাবের আলি, শেখ নবি হোসেন এবং শেখ রবিউল খনির সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা বাড়ি না ফেরায় গ্রামবাসীরা খোঁজ শুরু করেন। খনিমুখের আশেপাশে তিনটি গর্তে ডাকাডাকির পরে সাড়া মেলে। ভিতর থেকে ওই ছয় জন জানান, তাঁরা বেঁচে রয়েছেন। রাতেই মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। এর পরে রাতভর মাটি তোলার কাজ চলে। শনিবার সকালে বৃষ্টির জন্য সে কাজে কিছুটা অসুবিধা হয়। তবে কাজ চলতে থাকে। এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ এক এক করে উপরে তোলা হয় ছয় জনকে। চিকিত্সার জন্য তাঁদের আসানসোলে ইসিএল-এর কাল্লা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, “বেআইনি খননের খবর পেলেই পুলিশ গিয়ে ভরাট করে। এ ক্ষেত্রেও করেছে। ভরাটের আগে আওয়াজ করে কারও সাড়া মেলেনি। তাই এ রকম একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy