ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহৌর। রবিবার সকালে প্রার্থনা চলাকালীন পাকিস্তানের ওই শহরের দু’টি গির্জার ভিতরে জোড়া বিস্ফোরণ হয়। পাক পঞ্জাবের রাজধানী শহরের এই ঘটনায় নিহত ১১। আহত অন্তত ৫০। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের থেকে বিচ্ছিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উল-আহরার।
ইউহানাবাদের খ্রিস্টান পাড়ার রোমান ক্যাথলিক গির্জা এবং ক্রাইস্ট গির্জায় এই ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের অধিকাংশই এই অঞ্চলের বাসিন্দা। অন্ততপক্ষে দশ লাখ খ্রিস্টানদের বসবাস এখানে। এলাকায় রয়েছে দেড়শোর বেশি গির্জা। ঘটনার সময় গির্জাদু’টিতে প্রার্থনার জন্য উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। হামলাকারীরা গির্জায় ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরই সেখানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়েও আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন পুলিশকর্মী এবং আহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরা রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আহতদের লাহৌরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় খ্রিস্টিয় নেতা আসলাম পারভেজ সাহোত্রা বলেন, “প্রতিদিনের মতোই এ দিন সকালেও গির্জায় প্রার্থনা চলছিল। দু’জন হামলাকারী জোর করেই সেখানে ঢুকতে চেষ্টা করে। নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা পেয়ে প্রবেশপথেই বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।”
হামলায় দু’জন আত্মঘাতী জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। বিস্ফোরণের পর ঘটনায় জড়িত দু’জন সন্দেহভাজনকে ধরে ফেলেন এলাকার মানুষজন। গণপিটুনিতে তাদের মৃত্যু হয়। উন্মত্ত জনতা এর পর মৃতদেহ দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এটি যে আত্মঘাতী হামলা, তা স্বীকার করেছেন লাহৌরের ডেপুটি আইজি হায়দর আশরফ। এ দিনের হামলার পর গির্জার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। ২০১৩ সালে পেশোয়ারের কোহাটি গেট অঞ্চলের অল সেইন্ট গির্জায় জোড়া বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে নিহত হন ৮০ জন। ওই ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy