Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বারাণসতেই মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কেজরীবাল

কালি পড়ল কেজরীবালের মুখে। মঙ্গলবার বারাণসীতে পিটিআই-এর তোলা ছবি।

কালি পড়ল কেজরীবালের মুখে। মঙ্গলবার বারাণসীতে পিটিআই-এর তোলা ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ২১:৫৬
Share: Save:

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মন্দির-শহর বারাণসীকেই তুরুপের তাস করলেন আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতা। বারাণসী কেন্দ্র থেকেই লড়বেন বলে মঙ্গলবার গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আম আদমির ধাঁচেই সোমবার বারাণসীর উদ্দেশে দিল্লি থেকে শিব-গঙ্গা এক্সপ্রেস ধরেছিলেন। সকালেই গঙ্গায় স্নান সেরে বিভিন্ন মন্দির দর্শন করে তিনি বারাণসীর রাস্তায় সমর্থকদের নিয়ে ঘুরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সঞ্জয় সিংহ এবং মণীশ সিসৌদিয়ার মতো আম-নেতা। সেই সময় কেজরীবাল-বিরোধী শ্লোগান দিতে দিতে ডিম ও কালি ছুঁড়ে তাঁকে ‘অভ্যর্থনা’ জানান এক দল বিজেপি সমর্থক। তার পরেই এই যুদ্ধ ঘোষণা।

এ দিন বারাণসীতে জনতার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ֹ‘‘আপনারা কি চান আমি বারাণসী কেন্দ্র থেকেই নির্বাচন লড়ি। আম জনতার সাহায্যেই মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমার কাছে কোনও টাকা পয়সা নেই। আপনাদেরই আমাকে অর্থ সাহায্য করতে হবে। আমি জনতাকে অনুরোধ করছি আপনারা আমাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করুন ঠিক যেমন ভাবে মদন মোহন মালব্যকে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি তৈরির সময় সাহায্য করা হয়েছিল।’’

আগেই আপের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল গুজরাতের বাইরে কোনও কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনে লড়লে তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন কেজরীবাল। বিজেপি শিবিরের দাবি, গোটা দেশের মতোই বারাণসীতেও এখন মোদী-হাওয়া চলছে। ‘নমো’ হাওয়া আটকাতে বারাণসী কেন্দ্র থেকেই তিনি নির্বাচনে লড়বেন কি না তা নিয়ে আপ শিবিরে জল্পনা চলছিল। এর আগেও প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই হারিয়েছিলেন দিল্লির তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে। এ বার তাঁর নিশানা গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kejriwal varanasi narendra modi aap
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE