সমাবর্তন বয়কটকারী ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্রে স্ট্যাম্প লাগিয়ে সে কথা লিখে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল। সমাবর্তনের দিন তাঁরই এগিয়ে দেওয়া মেডেল, শংসাপত্র নিতে অস্বীকার করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা শাখার এ বছরের শ্রেষ্ঠ স্নাতক। জানালেন, অগণতান্ত্রিক উপাচার্যের উপস্থিতিতে ওই সম্মান তিনি নিতে চান না। মুখের উপরে এ রকম কথা শুনে দৃশ্যতই উত্তেজিত হয়ে পড়েন আচার্য। এক সময়ে আঙুল উঁচিয়ে কিছু বলতেও দেখা যায় তাঁকে। তার পরেই সমাবর্তনের মঞ্চ থেকে নেমে আসেন ওই ছাত্রী।
বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনের শুরুতে ঘটে যাওয়া এই একটি ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে গোটা পরিস্থিতি। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা, কালো পতাকা, ছাত্রছাত্রীদের স্লোগান, বিক্ষোভ, উপাচার্যের পদত্যাগ ও আচার্যের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়েই এ দিন সমাবর্তন মঞ্চে ঢোকেন রাজ্যপাল। কিন্তু মঞ্চে শংসাপত্র দেওয়ার শুরুতেই যে এমন ধাক্কা খেতে হবে, সেটা সম্ভবত আঁচ করেননি তিনি।
এ দিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ বিশেষ সমাবর্তনের সমাপ্তি ও বার্ষিক সমাবর্তন সূচনার ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। প্রথমেই কলা শাখার শ্রেষ্ঠ স্নাতক গীতশ্রী সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়। মঞ্চে উঠে হাতজোড় করে গীতশ্রী জানান, তিনি ওই শংসাপত্র ও মেডেল নেবেন না। উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরোধিতা করতেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে আচার্যকে জানান গীতশ্রী। ওই ছাত্রী পরে বলেন, “এ কথা শুনে রাজ্যপাল জিজ্ঞাসা করেন, আমি শংসাপত্র নেব কি না। আমি নেব না বলায় উনি আঙুল উঁচিয়ে অত্যন্ত বিশ্রি ভাবে আমাকে চলে যেতে বলেন।”