ইরাকের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল সিরিয়াও। বৃহস্পতিবার সিরিয়ার যুদ্ধ বিমান ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। যদিও সিরিয়া সরকার খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি। কিন্তু ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নূর আল-মালিকি খবরের সত্যতা স্বীকারের পাশাপাশি এই আক্রমণকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও সিরিয়ার কাছে এই আক্রমণ চালাতে ইরাক অনুরোধ করেনি বলেও তিনি জানান। এরই পাশাপাশি, অপহৃত ভারতীয়দের উদ্ধারে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান সরকার।
সিরিয়ায় তিন বছরেরও বেশি বাসার আল-আসাদের সরকারের সঙ্গে প্রধানত সুন্নি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। আইএসআইএল এই সুন্নি বিদ্রোহীদের একটি দল। আনবার প্রদেশের কাউন্সিলের প্রধান সাবা কারখোট জানান, সিরিয়ার যুদ্ধবিমান সীমান্ত লাগোয়া রুটবা, আল-আয়ালিদ ও আল-কোইমে আক্রমণ চালায়। এতে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন ১২০ জন। এই অঞ্চলগুলি আইএসআইএল-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধ বিমানগুলিতে সিরিয়ার জাতীয় পতাকা আঁকা ছিল বলে সাবা কারখোটের দাবি। ‘ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন ফর ইরাক’-এর প্রধান নিকোলাই মলাদেনভও বিমান আক্রমণের কথা স্বীকার করে জানান, যুদ্ধ বিমানগুলি ইরাকের নয়। তবে বিমানগুলি সিরিয়ার কি না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেননি।
এত দিন ইরানের বিরুদ্ধে মালিকি সরকারকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠত। সিরিয়ার এই আক্রমণ, ইরাকের সীমান্তের বাইরে প্রভাব বিস্তার করার আশঙ্কাকেই সত্য প্রমাণ করল বলে বিশেষজ্ঞদের মত। সিরিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও ইরাকে আইএসআইএল-এর অগ্রগতি অব্যাহত রইল। বৃহস্পতিবার তারা আজিল তেলের খনি দখল করে নেয়। তিকরিত-এর উত্তর-পূর্বের এই তেলের খনি থেকে তুরস্ক এবং বাইজি তেল শোধনাগারে তেল সরবরাহ করা হয়। অন্য দিকে, বাইজি তেল শোধনাগারে লড়াই জারি আছে। বাইজিতে আরও সেনা পাঠানো হয়েছে বলে ইরাকি প্রশাসন সূত্রে খবর।