আলিপুর থানায় হামলা চালানোর ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ শনাক্ত করেছিল ১০ জনকে। কিন্তু ধরেছিল মাত্র এক জনকে। কিন্তু, তাকে সাত দিন ধরে রেখেও পুলিশ বাকিদের কাউকেই ধরতে পারল না। আর পুলিশের সেই ‘অক্ষমতা’র সুযোগ নিয়ে আলিপুর আদালত থেকে শুক্রবার জামিন পেয়ে গেল আলিপুর-কাণ্ডে ধৃত যোগেশ বোরা।
যোগেশ বোরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় আলিপুর থানার নিচুতলা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। থানার এক পুলিশকর্মীর মন্তব্য, যারা থানায় হামলা করল, কাচ ভাঙল তাদের সবার ছবি ধরা পড়ল সিসিটিভি-তে। কিন্তু অনেক টালবাহানার পরে ধরা হল মাত্র এক জনকে। বাকিরা এলাকায় থাকলেও কিছু করা হল না।
আলিপুর থানায় হামলার ঘটনায় যারা শনাক্ত হয়েছেন তারা সবাই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মী। সিসিটিভি ফুটেজে তার ছবি না থাকলেও, ওই হামলার ঘটনার পিছনে কে তা জানেন থানার পুলিশকর্মীরা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের ঘনিষ্ঠ প্রতাপ সাহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলিপুর থানার পুলিশকর্মীরাই। কিন্তু তদন্তকারীরা অভিযোগপত্রে প্রতাপের নামই রাখেননি। এই অবস্থায় প্রতাপ ঘনিষ্ঠ যোগেশকে হাতে পেয়েও কেন তাকে ধরে রাখা গেল না সেই প্রশ্ন এড়াচ্ছেন পুলিশের বড়কর্তারা। এক কর্তার দায়সারা মন্তব্য: “যোগেশের জামিন যাতে খারিজ হয় সেই চেষ্টা করা হবে।”