সদাই শেখের পর এ বার শেখ সামাদ। বীরভূম থেকে ফের এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মাখড়ায় তৃণমূল কর্মী খুন, সিরশিট্টায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগ-সহ এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজের জন্য সামাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পাড়ুইয়ে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে বিজেপির এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব রায়চৌধুরী তাঁর সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মাখড়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত মাসের শেষ দিকে বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সদাই শেখকে। সদাইয়ের পরে এলাকার সংগঠনকে মজবুত করার গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে সামাদের উপর। রাজ্যে বিজেপির চলতি হাওয়ার ‘বেগ’ জেলায় বাড়াতে সফলও হচ্ছিলেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, সেই কারণেই গ্রেফতার করা হল সামাদকে। বাম জমানায় সামাদ ছিলেন কট্টর বাম সমর্থক। পরে অনেকের মতো শিবির বদলান, যোগ দেন বিজেপিতে।
সামাদের গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বিজেপির জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল দাবি করেছেন, “অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করুক এটা আমরাও চাই। কিন্তু বেছে বেছে শুধু মাত্র বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা অনুচিত। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও গ্রেফতার করতে হবে।” বিজেপির এই অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মণ্ডল বলেছেন, “বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশাসন সঠিক কাজই করছে। আমাদেরও বেশ কিছু নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে।”