শেষ পর্যন্ত বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরতেই হল নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনকে। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে সুনীল গাওস্করের হাতেই ব্যাটন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আইপিএল থেকে আপাতত কোনও দলকেই বাদ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে সপ্তম আইপিএল।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ নম্বর কক্ষের দিকেই নজর ছিল ক্রিকেটভক্তদের। ক্রিকেটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার বোর্ডকে তিনটি প্রস্তাব দেয় আদালত। অন্তর্বর্তী বোর্ড সভাপতি হিসাবে গাওস্করের নাম প্রস্তাব করে শীর্ষ আদালত। এ দিন সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়ে আইপিএল পর্যন্ত গাওস্করকেই বোর্ড সভাপতি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতিরা। এর জন্য গাওস্করকে বিসিসিআই-এর সঙ্গে ধারাভাষ্যকার হিসাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইপিএল সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমন কী সুন্দররামন আইপিএলের চেয়ারম্যান থাকবেন কি না, সেই সিদ্ধান্তও নেবেন গাওস্করই। এর জন্য তাঁকে ভাতা দিতে বোর্ডকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে আইপিএল-এর পর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বোর্ডের দায়িত্ব সামলাতে শিবলাল যাদবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবারের প্রস্তাব খারিজ করে চেন্নাই ও রাজস্থানের খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে নির্দিষ্ট সূচি মেনেই হবে সপ্তম আইপিএল। এ দিন বোর্ডের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয় দু’টি দল বাদ গেলে আইপিএল-এ তার প্রভাব পড়বে। এমনকী আইপিএল না হতেও পারে। এর পরই সিএসকে ও রয়্যালসকে আইপিএল খেলার নির্দেশ দেয় আদালত।