Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নাজিমোভার হাত ধরে ফিটনেসের নয়ামন্ত্র

সাবেক রাশিয়ান সার্কাসের ট্রাপিজ আর বলশয় ব্যালের অ্যাক্রোব্যাটিক্স এখন যুগ্ম ভাবে রাজধানীর ফিটনেসের মন্ত্র। মাধ্যাকর্ষণকে অগ্রাহ্য করা এই ‘এরিয়াল ডান্স’ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এক কর্পোরেট বিনোদনও বটে। বিভিন্ন ফিটনেস ক্লাব, জিম, পর্বতারোহণের প্রস্তুতি কর্মশালায় এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়ানো এই শৈলীটি ভারতে নতুন হলেও পূর্ব এবং পশ্চিম ইউরোপে কিন্তু যথেষ্ট প্রাচীন।

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ১৫:০৬
Share: Save:

সাবেক রাশিয়ান সার্কাসের ট্রাপিজ আর বলশয় ব্যালের অ্যাক্রোব্যাটিক্স এখন যুগ্ম ভাবে রাজধানীর ফিটনেসের মন্ত্র। মাধ্যাকর্ষণকে অগ্রাহ্য করা এই ‘এরিয়াল ডান্স’ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এক কর্পোরেট বিনোদনও বটে। বিভিন্ন ফিটনেস ক্লাব, জিম, পর্বতারোহণের প্রস্তুতি কর্মশালায় এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়ানো এই শৈলীটি ভারতে নতুন হলেও পূর্ব এবং পশ্চিম ইউরোপে কিন্তু যথেষ্ট প্রাচীন।

নয়াদিল্লিতে এই শৈলীর মূল পথপ্রদর্শক জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা এক রাশিয়ান ছাত্রী। নাম দারিয়া নাজিমোভা। সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে পিএইচডি করতে আড়াই বছর আগে নয়াদিল্লি এসেছিলেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই নর্তকী। প্রথমে ঘরোয়া ভাবে শুরু করেছিলেন তাঁর অধীত বিদ্যার ফলিত প্রয়োগ। যার নিট ফল, তাঁর গবেষণার কাজ আপাতত মন্থর! কারণ, দিল্লি এবং মুম্বই থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘন ঘন ডাক আসছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন নাজিমোভা। মস্কো নয়, আপাতত তাঁর ঘরবাড়ি নয়াদিল্লিই।

শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিভিন্ন বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থার অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। বাড়ছে ‘শো’-ও। নাজিমোভা স্বীকার করছেন, বিষয়টির মধ্যে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে নিঃসন্দেহে। যেমন সার্কাসে থাকে। মঞ্চের মিটার দশেক উঁচু থেকে ঝুলছে বিভিন্ন রেশমী কাপড়, দড়ি। কোথাও বা দেওয়ালকে সাজানো হয়েছে অবিকল পাহাড়ের মতো করে। বিভিন্ন পাথুরে খাঁজ বের করা সিলিং, চারপাশ থেকে ঝুলছে নানা রকম রিং। পিয়ানো অথবা স্যাক্সোফোন, এমনকী হালফিলের বলিউডি গানের ছন্দে সেই নেমে আসা কাপড় শরীরে জড়িয়ে নিতে নিতে উপরে ওঠা। এর পরে ব্যালের ভঙ্গিতে শরীরকে ছুঁড়ে দেওয়া শূ্ন্যে। সেখানেই কয়েক পাক ঘুরে পতনের আগের মুহূর্তে আশ্রয় খুঁজে নেওয়া কোনও রিং বা অন্য কোনও রেশমী কাপড়ের বন্ধনে। গোটা বিষয়টির মধ্যেই রয়েছে নাচের সহজাত লাবণ্য। তফাৎ শুধু, পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই শিল্পীদের!

ঝুঁকির সঙ্গে জনপ্রিয়তার কী সম্পর্ক?

নাজিমোভার কথায়: ‘‘গোটা ব্যাপারটির মধ্যে রয়েছে এক ধরনের রোমাঞ্চ। অনেকটা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট-এর মতন। ফলে, অল্পবয়সীদের এটা টানছে। সঙ্গে সুরের সঙ্গত থাকায় যিনি পারফর্ম করছেন তাঁরও একঘেয়ে লাগার কোনও সুযোগ নেই। তা ছাড়া এরিয়াল স্কিল তৈরি হলে মাংসপেশীর স্থিতিস্থাপকতা তো বাড়েই, ওজন কমাতেও এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE