জয়োল্লাস। পাকিস্তানকে হারিয়ে ওয়াটসন আর ম্যাক্সওয়েল। ছবি: রয়টার্স।
পাকিস্তানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভাল উইকেট অ্যাডিলেড ওভালেই মুখ থুবড়ে পড়ল মিসবারা। ফলে চার এশিয় দলের তৃতীয় দলও ছিটকে গেল বিশ্বকাপের আসর থেকে।
অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালের এই ম্যাচকে কাপের ফাইনাল ম্যাচের সমান গুরুত্ব দিয়েই দেখছিল। ক্লার্ক তো আগেই বলেছিলেন, “মিসবার দল একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।” আর উল্টো দিকে পাকিস্তানের ছবিটা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই একেবারে একেবারে আলাদা। একাধিক অভিজ্ঞ পেসার-স্পিনার ছাড়াই এ বারের বিশ্বকাপ অভিযানে নেমেছিল পাকিস্তান। তার উপর টুর্নামেন্টের কঠিনতম ফেভারিটের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চোটের ধাক্কায় নেই সাত ফুট এক ইঞ্চির পেসার মহম্মদ ইরফান। তা সত্ত্বেও পাক অধিনায়ক মিসবা-উল-হকের দাবি, —বোলিংয়ে এখনও যা শক্তি আছে সেটাই অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং লাইন-আপকে সমস্যা ফেলার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই অস্ট্রেলীয় দাপটে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। হ্যারিস সোহেল(৪১) আর মিসবা-উল হক(৩৪) ছাড়া কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি অস্ট্রেলীয় পেসারদের অাক্রমনের সামনে। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও মাত্র ২১৩ রানেই শেষ হয়ে যায় মিসবাদের ইনিংস। তবে ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে ক্লার্কদের ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় মাত্র ১৫ রানের মাথায় সোহেল খানের একটা ইনস্যুইংয়ে এলবিডাব্লিউ হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন ফিঞ্চ। এর পর দলীয় ৪৯ রানে ওয়ার্নার এবং ৫৯ রানে ক্লার্কেও প্যাভেলিয়নে ফেরায় পাকিস্তান। রান রেট ভালো থাকলেও পর পর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ কিছুটা চাপেই পড়ে যায় ক্লার্ক বাহিনী। কিন্তু এর পরই স্মিথের সঙ্গে দলের হাল ধরেন দলের ‘বুড়ো ঘোড়া’ ওয়াটসন। ধাক্কা সামলে যখন জয়ের জন্য এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ঠিক তখনই এহসান আদিলের বলে ব্যক্তিগত ৬৫ রানে আউট হন স্মিথ। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। ক্লার্কদের সেমিফাইনালে পৌঁছানো তখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সোহেল খান, এহসান আদিল, ওয়াহাব রিয়াজদের বোলিংয়ের ঝাঁজ থাকলেও দলের খারাপ ফিল্ডিংয়ের জন্য পাকিস্তানের পাল্টা লড়াইটা তেমন মারাত্বক হল না। তাই ৩৩.৫ ওভারেই ম্যাচ বের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওয়াটসন ব্যক্তিগত ৬৪ রানে এবং ম্যাক্সওয়েল ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পর একমাত্র এশিয় দল ধনিদের ভারত বিশ্বকাপে এখনও শুধু টিকেই আছে তা নয়, তারা এখনও অপ্রতিরুদ্ধ। ২৬ মার্চের সেমিফাইনালে ধনির অশ্বমেধ ঘোড়া পৌঁছাবে ক্লার্ক বাহিনীর সামনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy