Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সলমনের জেল-যাত্রার সালতামামি

ঘটনার দিন থেকে সাজা ঘোষণার দিন— কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১৩টি বছর। নানা সওয়াল-জবাব, নাটকীয় টানাপড়েনের পরে রায় এল আদালতের। কোন পথে এগলো এই আইনি লড়াই? তারই সালতামামি।

বুধবার আদালতে ঢোকার সময় সলমন। ছবি: পিটিআই।

বুধবার আদালতে ঢোকার সময় সলমন। ছবি: পিটিআই।

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ১৪:১৫
Share: Save:

২০০২

২৮ সেপ্টেম্বর: বান্দ্রার আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির সামনে সলমনের সাদা রঙের ল্যান্ড ক্রুজার ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচ ব্যক্তিকে চাপা দেয়। এক জনের মৃত্যু। আহত চার।

২৮ সেপ্টেম্বর: সলমনের রক্ত পরীক্ষা।

২৮ সেপ্টেম্বর: বান্দ্রা পুলিশ গ্রেফতার করল সলমনকে। জামিনে মুক্ত।

১ অক্টোবর: বম্বে প্রহিবিশন অ্যাক্ট এবং মোটর ভেহিকলস আইনে সলমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-২ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশ অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা রুজু করে।

৭ অক্টোবর: বান্দ্রা থানায় সলমনের আত্মসমর্পণ এবং গ্রেফতার।

২১ অক্টোবর: বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের চার্জশিট দাখিল।

২৪ অক্টোবর: সলমনের জামিন মঞ্জুর।

২০০৩

মার্চ: ৩০৪-২ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলার বিরুদ্ধে মুম্বই দায়রা আদালতে সলমনের আবেদন।

মার্চ: দায়রা আদালতে তাঁর আবেদন বাতিল।

জুন: বম্বে হাইকোর্টে আবেদন সলমনের। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, এই মামলায় ৩০৪-২ ধারা প্রযোজ্য নয়।

অক্টোবর: বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্র সরকার।

ডিসেম্বর: সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সলমনের বিরুদ্ধে চলা মামলায় ৩০৪-২ ধারা প্রযোজ্য হবে কি না তার সিদ্ধান্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নিতে পারে।

২০০৬

অক্টোবর: সলমনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।

২০০৭

৩ অক্টোবর: সলমনের প্রহরায় থাকা যে পুলিশকর্মী এফআইআর করেছিলেন, অসুস্থ হয়ে সেই রবীন্দ্র পাটিলের মৃত্যু।

২০১৩

২৩ ডিসেম্বর: অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ভি এস পাটিল ১৭ জন সাক্ষীর বয়ান শোনার পর মামলাটিকে দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন।

২৪ জুন: দায়রা আদালত জানিয়ে দেয়, সলমনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার ধারা প্রযোজ্য হবে। সলমনের আবেদন বাতিল।

২০১৪

২৭ এপ্রিল: নতুন করে মামলার শুনানি শুরু দায়রা আদালতে।

২৪ জুন: নতুন মামলায় দায়রা আদালত তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে।

জুলাই: ৬৩ জন সাক্ষীর বয়ান-সহ বান্দ্রা থানা থেকে এই কেসের সমস্ত ফাইল হারিয়ে যায়। আদালত তদন্তের নির্দেশ দেয়।

১২ সেপ্টেম্বর: ফাইলগুলি পাওয়া যায়। আদালতে জমাও দেওয়া হয়।

২০১৫

২৫ মার্চ: ২৪ জন সাক্ষীর বয়ান শোনার পর আদালত শুনানি শেষ বলে জানিয়ে দেয়।

২৭ এপ্রিল: অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপাণ্ডের সামনে সলমনের বয়ান রেকর্ড।

৩১ মার্চ: সলমনের গাড়ির চালক অশোক সিংহ আদালতে জানান, ওই রাতে সলমন নন, তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

১ এপ্রিল: সরকারি কৌঁসুলির সওয়াল শুরু।

১০ এপ্রিল: সলমনের আইনজীবীর সওয়াল শুরু।

২০ এপ্রিল: সওয়াল শেষ।

২১ এপ্রিল: আদালত জানিয়ে দিল ৬ মে রায় শোনানো হবে।

৬ মে: সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE