একতা-দৌড়ের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী। ছবি: এপি।
সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মবার্ষিকী এ বার থেকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ হিসাবে পালিত হবে। শুক্রবার সকালে রাজধানীতে ‘রান ফর ইউনিটি’র সূচনা করে এ কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। একতা দিবসের ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবার ইতিহাস মনে রাখা উচিত। যে জাতি ইতিহাস মনে রাখে না, তার পক্ষে নতুন ইতিহাস রচনা করাও সম্ভব নয়।”
এ দিন ছিল স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের ১৩৯তম জন্মদিন। কেন্দ্রের তরফ থেকে দিনটি পালন করার কথা আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল। একতার জন্য দৌড়ের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী তিরিশ বছর আগে এই দিনে রাজধানীতে শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ তোলেন। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “ভারতের লৌহমানবের জন্মদিনেই আজ থেকে তিরিশ বছর আগে আমাদের নিজেদের রক্তে লাল হয়েছিল দেশ। সর্দার পটেল কখনও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের দুর্ভাগ্য তাঁর জন্মদিনেই আমাদের পরিবারের মানুষদের খুন করা হয়েছিল। এটা কোনও নির্দিষ্ট জাতির উপর আঘাত ছিল না, দেশের বুকে চিরস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল।” তাঁর মতে রামকৃষ্ণ পরমহংস যেমন স্বামী বিবেকানন্দ ছাড়া অসম্পূর্ণ, মহাত্মা গাঁধীও সর্দার পটেল ছাড়া অসম্পূর্ণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, “সর্দার পটেল প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের ইতিহাস অন্য রকম হত।” প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুবার্ষিকীও ছিল এ দিন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে এই উল্লেখও করেন।
সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ বিজয় চক থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত একতার জন্য দৌড়ের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দৌড়ে যোগ দেন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীর, বক্সার বীজেন্দ্র সিংহ, কুস্তিগির সুশীল সিংহ প্রমুখ। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy