—ফাইল চিত্র।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তলবে সাড়া দিয়ে তাদের দফতরে হাজিরা দিলেন শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। সোমবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে পৌঁছন তিনি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এ দিন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ তিনি সেখান থেকে বেরোন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের কোনও জবাব না দিয়ে তিনি সোজা নিজের গাড়িতে ওঠেন।
তৃণমূলের তিন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, মিঠুন চক্রবর্তী, অর্পিতা ঘোষের পরে শুক্রবার তলব করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ ঘনিষ্ঠ ওই চিত্রশিল্পীকে। এর আগে শুভাপ্রসন্নকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি এবং সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর স্ত্রী শিপ্রা ভট্টাচার্যকেও।
কিন্তু, ফের কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল?
ইডি-র অফিসারেরা জানিয়েছিলেন, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে তিনি যে বৈদ্যুতিন চ্যানেলটি বিক্রি করেছিলেন, তার হিসাবে প্রচুর অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। অনেক কিছুর ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও শিল্পী তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই কারণেই শুভাপ্রসন্নকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সারদা কর্তা জেরায় দাবি করেছিলেন— তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের চাপে শুভাপ্রসন্নর কাছ থেকে ‘দেবকৃপা ব্যাপার’ নামে একটি সংস্থা কিনতে বহু টাকা ঢালতে হয়েছে তাঁকে। ওই সংস্থাটি কেনার জন্য তিনি চুক্তিমতো ১৪ কোটি টাকা এবং চুক্তির বাইরে আরও ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন ওই শিল্পীকে। ‘সিট’ও তাদের হলফনামায় জানায়, ১৪ কোটি টাকাতেই দেবকৃপা হস্তান্তর হয়। কিন্তু শুভাপ্রসন্ন জানান, দেবকৃপা সাড়ে ৬ কোটি টাকায় সুদীপ্তের কাছে বিক্রি করা হয়। শিল্পীর দাবি, তিনি মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। বাকি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয় অন্য অংশীদার ও পাওনাদারদের।
ইডি-র অভিযোগ, দু’জনের এই বক্তব্যের ফারাক থেকেই স্পষ্ট—হিসাবে বড়সড় অসঙ্গতি রয়েছে। তাই তাঁকে ফের ডাক পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy