ছোট্ট একটি ঘর। গোটা ঘরে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বন্দুক ও কার্তুজ। তার মধ্যেই চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত এক যুবকের দেহ। বাঁ চোখের পাশ দিয়ে রক্ত ঝরে পড়ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চোখের পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পিছন দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে এই যুবকেত। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শুক্রবার দুপুরে সোনারপুরের এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাহুল ঘোষ (২২)। তাঁর বাড়ি সোনারপুরের নতুন দিয়ারা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে ওই দিন বাড়ির পিছন দিকের একটি ঘর থেকে গুলির শব্দ শনতে পান রাহুলের পরিবারের লোকজনেরা। সেই সময় ওই ঘরেই ছিল রাহুল।
তড়িঘড়ি পৌঁছে ঘরের দরজা খুলতেই আগ্নেয়াস্ত্রের স্তূপের মধ্যে রাহুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ওই ঘর থেকে তিনটি ওয়ান শটার, দু’টি পিস্তল এবং ৮৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ঘরে একাই ছিল রাহুল। কোনও ভাবে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সরাতে গিয়ে গুলি ওই যুবকের মাথায় এসে লাগে। আগে বিভিন্ন বাড়িতে মার্বেল বসানোর কাজ করলেও সম্প্রতি সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার পর এলাকার বিভিন্ন দুষ্কৃতীর সঙ্গে সংশ্রব গড়ে ওঠে রাহুলের। এমনকী গত পুর-নির্বাচনের সময়েও তার ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy