রজার্সকে ফিরিয়ে উচ্ছ্বসিত উমেশ। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ব্রিসবেন বুধবার মুরলী বিজয়ের জারি করা ১৪৪ ধারার ফসল তুলতে পারল না ভরাত। প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও ফের এক বার দলকে ডোবাল লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবে দিনের শেষে উমেশ যাদবের তিন উইকেটে ম্যাচ আপাতত ফিফটি-ফিফটি।
এ দিন বুধবারের স্কোরের সঙ্গে একশো রান যোগ হওয়ার আগেই মুড়িয়ে গেল ভারতীয় ব্যাটিং। শেষ ছ’উইকেট ৮৬ রানে এবং শেষ চার উইকেট পড়ল মাত্র ২৩ রানে। প্রথম দিনের স্কোরের সঙ্গে ব্যক্তিগত ছ’রান যোগ করেই আউট হলেন রাহানে-রোহিত। ভাল শুরু করেও ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে ব্যর্থ অশ্বিন-ধোনি। অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিলেন হ্যাজেলউড। তাঁর আউট সুইঙ্গারের কোনও উত্তর ছিল না ধোনিদের সামনে। আর এ বারেও তিন উইকেট নিলেন লিঁয়। এই দু’জনের ধাক্কায় ৪০৮-এই থেমে যায় ধোনি-বাহিনী। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে উইকেটহীন থাকলেন অজিদের সেরা পেস অস্ত্র মিচেল জনসন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিংয়ে ৪৭ রান যোগ করেন রজার্স-ওয়ার্নার জুটি। ওভার পিছু পাঁচ রান করে তুলতে থাকেন তাঁরা। এর পরেই আক্রমণে আসেন উমেশ। ২০১২ সালে শেষ বার টেস্ট খেলা বিদর্ভের এই পেসার শুধুমাত্র চলতি টেস্টের দ্রুততম বলই করলেন না, প্রথম স্পেলেই ওয়ার্নারকে তুলে নিয়ে অজি ব্যাটিংয়ে প্রথম ঝটকাও দিলেন। ওয়াটসন এলেও আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে আসেনি অস্ট্রেলিয়া। রজার্সের সঙ্গে জুটিতে ৬৩ বলে ৫১ রান যোগ করেন এই জুটি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ওয়াটোকে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন অশ্বিন। এর পর রজার্সকে উমেশ ফিরিয়ে দিতেই ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১২১/৩ থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক স্মিথ। দিনের শেষে শন মার্শ আউট হলেও ৬৫ রানে অবিচল নতুন অজি অধিনায়ক। খারাপ আলোর জন্য বেশ কিছু ক্ষণ আগেই শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা।
অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত হ্যাজেলউড। ব্রেট লি এবং জেসন ক্রেজার পর ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র তৃতীয় অস্ট্রেলীয় হিসাবে এই কৃতীত্বের অধিকারী হলেন তিনি।
ব্রিসবেনে এখনও পর্যন্ত বিপক্ষ ৪০০ তোলার পর কোনও ম্যাচ জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। আপাতত এই তথ্যে ভর করেই আশা বুক বাঁধছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy