দু’বছরের মেয়ের সামনে গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় চার জনকে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে বসিরহাটের উত্তর বাগুণ্ডি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, কাকার ছেলের কয়েক জন বন্ধু তাঁর উপর অত্যাচার করে। তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় ভয় পেয়ে প্রথমে পুলিশকে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই দিন সন্ধ্যায় বসিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার ঘটনাস্থলে যান উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “ওই মহিলার উপর অত্যাচারের অভিযোগে গণধর্ষণের মামলা রুজু করে ওই রাতেই পশ্চিম দণ্ডিরহাটের বাড়ি থেকে নুরুল আমিন মোল্লা, আরিফ মোল্লা, শেখ ময়না ওরফে হাফিউল্লা ও বড় জিরাফপুর গ্রামের বাড়ি থেকে উত্পল মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা প্রত্যেকেই রং মিস্ত্রির কাজ করে।” ধৃতদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা ইতিমধ্যে তাদের দোষ স্বীকার করেছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে এ দিন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে লিলুয়া হোমে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। ওই যুবক রান্নার কাজ করেন। মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। দম্পতির দু’বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বামী না থাকলে ওই মহিলা মাঝেমধ্যে উত্তর বাগুিণ্ড গ্রামে রেললাইনের ধারে তাঁর এক কাকার বাড়ি এসে থাকতেন। ওই দিন রাতে তিনি মেয়েকে নিেয় একাই ঘরে ছিলেন। কাকাদের বাইরে নিমন্ত্রণ ছিল। সেই সুযোগে ওই চার যুবক মহিলার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণীর কথায়: “রাত ১১টা নাগাদ দরমার বেড়ার দরজা ভেঙে চার যুবক হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে পর পর আমাকে ধর্ষণ করে। চিত্কার করতে গেলে মুখে বালিশ চাপা দেয়।” তিনি জানান, তাঁর গোঙািনর শব্দে মেয়ের ঘুম ভেঙে যায়। সে চিত্কার করতে থাকে। তা শুনে প্রতিবেশী এক দম্পতি বেরিয়ে আসেন। তাঁদের দেখে গুলি চালােনার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। ভয় পেয়ে ওই দম্পিত ঘরে ঢুকে যান। সারা রাত ধরে চলে অত্যাচার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy