অল্পের জন্য রক্ষা পেল জেট এয়ারওয়েজের দু’টি বিমান। একটি মাঝ আকাশে এড়াল বড়সড় দুর্ঘটনা অন্যটি বাঁচল আগুনের হাত থেকে।
দুই চালকের ভুল বোঝাবুঝিতে মুম্বই থেকে ব্রাসেলসগামী জেট এয়ারওয়েজের একটি বোয়িং বিমান ৩৪ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে এক ধাক্কায় ২৯ হাজার ফুটে নেমে আসে। তুরস্কের আঙ্কারার আকাশসীমায় পৌঁছনোর সময় ককপিটে হঠাত্ই অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বিমানচালক। সেই সময় বিমান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন সহ-চালক।
তা হলে বিমান উচ্চতা কমাতে শুরু করলে তিনি তা বুঝতে পারেননি কেন?
সূত্রের খবর, সেই সময় আইপ্যাডে মগ্ন ছিলেন সহ-চালক। তাই বিমানের আকস্মিক পতনের ব্যাপারটি তিনি বুঝতে পারেননি। এর পর এটিসির-তরফ থেকে সতর্ক করা হলে বিমানটি স্বাভাবিক ভাবে চলতে শুরু করে। দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পায় ওই বিমান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই বোয়িং বিমানটিতে প্রায় ২৮০ জন যাত্রী ছিলেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে ওই দুই চালককে।
এরই পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টা নাগাদ ভোপালগামী জেট এয়ারওয়েজের বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লাগার সঙ্কেত পাওয়া যায়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন ওড়ার আগে ইঞ্জিনের ডান দিক থেকে হঠাত্ ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের নেমে যেতে অনুরোধ করেন চালক। বিপদের হাত থেকে বেঁচে যান ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী। তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর।
জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইঞ্জিনে আগুন লাগার ফলে বাতিল করা হয়েছে দিল্লি-ভোপালগামী বিমান। দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ৷
সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ যাত্রীদের নিয়ে ভোপালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় অন্য একটি বিমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy