জি কে ভাসান। —নিজস্ব চিত্র।
দ্বিধাবিভক্ত তামিলনাড়ু কংগ্রেস! প্রদেশ কংগ্রেস ছেড়ে রাজ্যে নতুন দল গড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসান। সোমবার চেন্নাইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নতুন পার্টি গড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। ভাসানের সঙ্গে দল ছাড়েন তাঁর সমর্থকরাও। তিনি বলেন, “শীঘ্রই তিরুচিতে এক জনসভা ডেকে সেখানে নতুন পার্টির নাম ও প্রতীকের ঘোষণা করা হবে।” এআইসিসি-র বিরুদ্ধে অনভিপ্রেত মন্তব্যের জন্য এর পরেই ভাসানকে বহিষ্কার করা হয়।
এ দিনের এই সিদ্ধান্তে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল। কী ভাবে? ১৭ বছর আগে একই ভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তামিল মানিলা কংগ্রেস নামে নতুন দল গড়েছিলেন ভাসানের বাবা জি কে মুপানর। যদিও মুপানরের মৃত্যুর পরে ২০০২ সালে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যায় তামিল মানিলা কংগ্রেস।
কিন্তু হঠাৎ দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন ভাসান?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে দু’টি কারণ আছে। প্রথমত, নতুন মেম্বারশিপ কার্ডে কামরাজ ও মুপানরের ছবি ব্যবহার না করার কংগ্রেস হাইকমান্ডের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন প্রদেশ কংগ্রেস সমর্থকেরা। দ্বিতীয়ত, গত শনিবার ভাসান অনুগামী বি এস জ্ঞানদেশিকনকে সরিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে ই ভি কে এস ইলানগোভানের নাম ঘোষণা করে এআইসিসি। এই সিদ্ধান্তে বেজায় অসন্তুষ্ট হন ভাসান। এর পরেই দল ছাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। এ দিন এআইসিসি-র কাছে ভাসানের সঙ্গে ইস্তফাপত্র জমা দেন প্রদেশ কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ কোভাই থাঙ্গন-সহ ছাত্র শাখার বহু সদস্য।
ভাসানের এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য তাঁর রণকৌশলের অঙ্গ হিসাবেই দেখছেন রাজনৈতিক শিবির। বিগত ৪৭ বছর রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস। লোকসভা ভোটেও ফল আশানুরূপ হয়নি তাদের। এতে মনোবল ভেঙেছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আবহে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ হিসাবে দেখছেন ভাসান এবং তাঁর অনুগামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy