Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আইনস্টাইন, গবেষণা এবং নারী

আলবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে নারীবাদীরা কী বলবেন? জানতে বড় সাধ হয়। বিজ্ঞান পুরুষাধিপত্য বিস্তারে বড় অস্ত্র—এই অভিযোগে নারীবাদী ভাষ্যকারেরা আধুনিক বিজ্ঞানের জনক আইজাক নিউটনের মহাগ্রন্থ ‘ফিলোজফিয়া নাচুরালিস প্রিংখিপিয়া ম্যাথমেটিকা’-কে বলেন রেপ ম্যানুয়াল। প্রতিবাদের কি শেষ আছে?

দ্বিতীয় স্ত্রী এলিজার সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার এক হোটেলে।

দ্বিতীয় স্ত্রী এলিজার সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার এক হোটেলে।

পথিক গুহ
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:৩৩
Share: Save:

আলবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কে নারীবাদীরা কী বলবেন? জানতে বড় সাধ হয়। বিজ্ঞান পুরুষাধিপত্য বিস্তারে বড় অস্ত্র—এই অভিযোগে নারীবাদী ভাষ্যকারেরা আধুনিক বিজ্ঞানের জনক আইজাক নিউটনের মহাগ্রন্থ ‘ফিলোজফিয়া নাচুরালিস প্রিংখিপিয়া ম্যাথমেটিকা’-কে বলেন রেপ ম্যানুয়াল। প্রতিবাদের কি শেষ আছে? ভ্রূণ সৃষ্টিতে কে বেশি সক্রিয়—শুক্রাণু না ডিম্বাণু—এই তর্ক জারি থাকে। কন্ডোমের বিজ্ঞাপনে পুরুষপ্রবরকে আদিম মানুষ-সুলভ আগ্রাসী দেখালে প্রবল আপত্তি ওঠে। সুতরাং, আলবার্ট আইনস্টাইন নামে একজন বিজ্ঞানী সম্পর্কে নারীবাদী ভাষ্যকারদের মনোভাব যে সুমধুর হবে না, তা অনুমান করা যায়। অনুমান সত্যি কি না, জানলে ভাল হত। কেন এই কৌতূহল, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।

১০০ বছর আগে আইনস্টাইন আবিষ্কার করেছিলেন জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি। যে তত্ত্বকে নোবেলজয়ী ব্রিটিশ পদার্থবিদ পল ডিরাক বলেছিলেন, ‘বিজ্ঞানে সম্ভবত সর্বকালের সেরা আবিষ্কার’। বিজ্ঞানী ম্যাক্স বর্ন-এর ভাষায় তা ‘ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে মানুষের ভাবনার শ্রেষ্ঠ ফসল, ফিজিক্সের পাণ্ডিত্য, গণিতের দক্ষতা আর দর্শনের প্রজ্ঞার সেরা সংমিশ্রণ’। নোবেলজয়ী পদার্থবিদ হোলফগাং পউলি-র মতে জেনারেল রিলেটিভিটি ‘বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দর’। কোন থিওরি সম্পর্কে এমন সব বিশেষণ?

সংক্ষেপে বললে, নিউটনকে সংশোধন করলেন আইনস্টাইন। নিউটন বলেছিলেন, মহাকর্ষ হল দুই বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বল। পৃথিবী টানছে গাছের আপেল বা আকাশের চাঁদকে, সূর্য টানছে পৃথিবীকে। ও দিকে আপেল আর চাঁদও টানে পৃথিবীকে। যেমন পৃথিবী টানে সূর্যকে। কেন এই টানাটানি? এর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি নিউটন। বরং অকপটে স্বীকার করেছিলেন নিজের ব্যর্থতা। বলেছিলেন, এ ব্যাপারে কোনও অনুমানও তিনি পেশ করতে চান না। পরম ঈশ্বরবিশ্বাসী নিউটন হয়তো ভেবেছিলেন মহাকর্ষ দৈব অভিপ্রায়। মহাকর্ষ না থাকলে ব্রহ্মাণ্ডে গ্রহ-নক্ষত্র বাঁধা পড়ে থাকত না, ছুটে পালাত দিগ্বিদিকে।

মহাকর্ষের কারণ জেনে কী লাভ? তার চেয়ে বরং অনেক বেশি আদরণীয় হল মহাকর্ষের পরিমাণ মাপার জন্য নিউটনের আবিষ্কৃত ফরমুলা। ওই ফরমুলা দিয়ে নির্ণয় করা গেল গ্রহ-নক্ষত্রের চলন। যা এক বিরাট সাফল্য। নিউটন গণ্য হলেন মহাবিজ্ঞানী হিসেবে। অবশ্য, সাফল্যের মধ্যেও রয়ে গেল কাঁটা। কিছু ধাঁধাঁ। একটা যেমন বুধ গ্রহের কক্ষপথ। সে খানিক বিচিত্র। যে কোনও গ্রহের মতোই বুধের কক্ষপথ উপবৃত্ত। মানে, সূর্য থেকে ওই গ্রহের দূরত্ব বছরে সব সময় সমান নয়। কখনও তা সূর্যের খুব কাছে, কখনও বেশ দূরে। এটা এমন কিছু বিস্ময়ের নয়। বুধ ছাড়াও অন্য গ্রহেরাও সূর্যকে এ ভাবেই প্রদক্ষিণ করছে। বুধ গ্রহের বেলায় যা ব্যতিক্রম, তা হল তার কক্ষপথ স্থির নয়। বছরে বছরে তা সরে সরে যায়। মানে, সূর্য থেকে বুধের সবচেয়ে কাছের এবং সবচেয়ে দূরের অবস্থান বিন্দুগুলো এক জায়গায় থাকে না, সমানে সরে সরে যায়। বিন্দুগুলো নিজেরা যেন ঘুরতে থাকে। নিউটনের তত্ত্বে বুধ গ্রহের কক্ষপথের এ হেন আচরণ ব্যাখ্যা করা যায় না।

শুধু বুধ গ্রহের কক্ষপথের আচরণ ব্যাখ্যা করতেই যে আইনস্টাইন জেনারেল রিলেটিভিটি আবিষ্কারে ব্রতী হয়েছিলেন, তা নয়। তবে এটা ঠিক যে ওই রিলেটিভিটি বুধ গ্রহের কক্ষপথের অস্বাভাবিকতা ব্যাখ্যা করে। সেটা উপরি পাওনা। জেনারেল রিলেটিভিটি আবিষ্কারের মূলে আইনস্টাইনকে প্ররোচনা দিয়েছিল তাঁরই ১৯০৫ সালের আবিষ্কার—স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি। যার উপহার সেই বিশ্ববিখ্যাত ফরমুলা E=mc2। যার মূল কথা শুধু যে পদার্থ আর শক্তি অভিন্ন বা একই জিনিসের দুই রূপ তাই নয়, এক রত্তি পদার্থ মানে বিপুল পরিমাণ শক্তি। ব্যাপারটা বোঝা যাবে অ্যাটম বোমা বা হাইড্রোজেন বোমার কথা বললে। ও সব বোমার ওজন এমন কিছু বিশাল নয়, অথচ তারই কী বিপুল ধ্বংসক্ষমতা!

স্পেশাল রিলেটিভিটির আরও কিছু সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর। নিউটনের ধারণার সঙ্গে মেলালে যাদের বৈচিত্র প্রকট হয়। নিউটন ভেবেছিলেন, স্পেস বা স্থান, যার মধ্যে বস্তু চলাফেরা করে, আর টাইম বা কাল, যা এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে বস্তু চলতে থাকে—সে দুটো আলাদা জিনিস। স্পেশাল রিলেটিভিটি দেখিয়ে দেয় স্থান থেকে কাল আলাদা করা যায় না। ও দুটো মিলেমিশে একাকার। স্পেশাল রিলেটিভিটি আইনস্টাইন আবিষ্কার করেন এমন দুই বস্তুর কথা ভেবে, যাদের মধ্যে দূরত্ব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমান ভাবে বাড়ছে বা কমছে। ওটা তো বিশেষ অবস্থা। তাই তত্ত্বটার নাম স্পেশাল রিলেটিভিটি। বাস্তবে তো একের সাপেক্ষে অন্য এক বস্তু সর্বদা সমবেগে চলমান নাও হতে পারে। যেমন গাছের আপেলের মাটিতে পড়া। পড়ার সময় আপেলের গতিবেগ সব সময় সমান নয়। তা ক্ষণে ক্ষণে বাড়ে। বিশেষ পরিস্থিতির বদলে এ বার যে কোনও রকম বা সাধারণ পরিস্থিতি। এ হেন পরিস্থিতির উপযোগী তত্ত্বের নাম তাই জেনারেল রিলেটিভিটি।

জেনারেল রিলেটিভিটি অনুযায়ী, মহাকর্ষ দুই বস্তুর মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বল বা একে অন্যকে কাছে টানার ব্যাপার মোটেই নয়। তা অন্য রকম ঘটনা। কেমন? আইনস্টাইন দেখালেন, যে কোনও ভারী বস্তু তার চার পাশের জায়গাটিকে অনড় থাকতে দেয় না, দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। এ বার, ওই ভারী বস্তুর চার পাশের দোমড়ানো জায়গার মধ্যে দিয়ে চলাফেরার সময় হাল্কা বস্তু আর সরল রেখায় চলতে পারে না। তার চলার পথ বাঁক নিতে বাধ্য হয়। মহাকর্ষ, সুতরাং, আকর্ষণ বল নয়। স্পেসটাইমের জ্যামিতিক কারসাজি।

নিউটনকে সংশোধন করে যে জেনারেল রিলেটিভিটি পাওয়া গেল, তার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল স্পেস বা বস্তুর চার পাশের জায়গার নতুন ভূমিকা লাভ। নিউটনের কল্পনায় স্পেস আর বস্তুর মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না। স্পেস যেন নাট্যম়ঞ্চ। আর বস্তু হল নাটকের কুশীলব। তারা আলাদা। জেনারেল রিলেটিভিটির কৃতিত্ব নাট্যমঞ্চকেও নাটকের একজন অভিনেতা হিসেবে বানিয়ে ফেলা। কারণ, ম্যাটারের উপস্থিতিতে স্পেস দুমড়ে যাচ্ছে, আবার ওই দোমড়ানো স্পেস-এর মধ্যে ম্যাটার বাঁকা পথে চলেছে। প্রয়াত বিজ্ঞানী জন আর্চিবাল্ড হুইলার-এর কথায়—‘ম্যাটার স্পেসকে বলে কতটা দোমড়াতে হবে, স্পেস ম্যাটারকে বলে তার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে চলতে হবে।’ স্পেস ব্রহ্মাণ্ডে ঘটনাবলির উদাসীন দর্শক নয়, সে ঘটনাবলির অংশবিশেষ।

জেনারেল রিলেটিভিটি হল ব্রহ্মাণ্ডকে চেনার কোড। ওই তত্ত্বের সূত্রে মিলেছে মহাবিশ্ব সম্পর্কে নানা বড় খবর। ব্রহ্মাণ্ড যে শাশ্বতকালীন নয়, বরং এক মহাবিস্ফোরণে জন্মেছিল ১৩৭০ কোটি বছর আগে, তা জানা গেছে জেনারেল রিলেটিভিটির সূত্রে। ব্ল্যাক হোল নামে মহাশূন্যের রাক্ষসদেরও খোঁজও দিয়েছে ওই তত্ত্ব। জেনারেল রিলেটিভিটির আরও অনেক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত সত্যি না মিথ্যে, তা জানতে দুরূহ পরীক্ষায় মেতে আছেন গবেষকরা। এ সব শুনে যদি কারও মনে হয়, জেনারেল রিলেটিভিটি শুধু ব্রহ্মাণ্ডের বড় বড় সমস্যার কারবারি, তাহলে তিনি ভুল করবেন। যে কোনও স্মার্ট ফোনের আবশ্যিক অনুষঙ্গটি যে জিপিএস, তা-ও কিন্তু জেনারেল রিলেটিভিটির দান।

এ বারে আসা যাক এ লেখার ভূমিকা প্রসঙ্গে। ঢোকা যাক ওই তত্ত্বের জন্মকাল, অর্থাৎ ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে আইনস্টাইনের জীবনে। কঠিন গণিত-নির্ভর তত্ত্বের সন্ধানে রত তিনি। একা নন, ও ব্যাপারে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মান গণিতজ্ঞ ডেভিড হিলবার্ট। এ দিকে আইনস্টাইন নিজে গণিতে ততটা পটু নন। তাই সাহায্য চাইছেন ছাত্রাবস্থার দুই বন্ধু মার্সেল গ্রসমান এবং মাইকেল বেসো-র কাছে। গবেষণার যখন এই দশা, তখন পারিবারিক জীবনও আবার দুর্বিষহ। দাম্পত্যকলহ চরমে।

কলেজে আইনস্টাইনের সহপাঠিনী ছিলেন মিলেভা মারিক। তাঁর সঙ্গে প্রেম। মায়ের ঘোর অমতেও তাকে বিয়ে করেন আইনস্টাইন। বিয়ের আগেই অবশ্য তাঁদের প্রথম সন্তান—এক মেয়ে। তার যে কী হয়, তা জানা নেই। তার খোঁজ জানে না কেউ। সে যাক। বিয়ে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে। তার পর মিলেভার দুটি ছেলে জন্মায়। ১৯০৮ সাল থেকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষে ইউরোপে মেয়েদের কলেজ স্তরে পড়াশুনা তেমন চালু নয়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়া তো বিশেষ উদ্যমের ব্যাপার। মিলেভা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়েও যে বিজ্ঞান পড়তে শুরু করেন, তাতে তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রমাণিত হয়। এ হেন মেয়ের শুধু গবেষণায় চব্বিশ ঘণ্টা ব্যস্ত স্বামীর গৃহিণীর ভূমিকা পালন অসম্ভব। সন্তান পালন এবং স্বামীর পরিচর্যায় মিলেভা খুশি হবেন কেন? তাই প্রথমে তার মানসিক অবসাদ। তার পর দাম্পত্যকলহ। ক্রমে সম্পর্ক রীতিমত তিক্ত।

কতটা তিক্ত, তা বোঝা যাবে আইনস্টাইনের আচরণ থেকে। ১৯১৪ সালে —অর্থাৎ বিয়ের ১১ বছর পরে—আইনস্টাইন বুঝতে পারলেন স্ত্রীর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক আর ফিরবে না। শুধু দুই নাবালক সন্তানের মুখ চেয়ে এক ছাদের নীচে থাকা। আইনস্টাইন তা থাকবেন যদি মিলেভা মানেন এই শর্তগুলি—মিলেভাকে দেখতে হবে যেন আইনস্টাইনের জামাকাপড় ধোপদুরস্ত থাকে, তিনি যেন তিন বেলা খাবার পান তাঁর ঘরে, তাঁর বেডরুম এবং পড়ার ঘর যেন গোছানো থাকে, তাঁর ডেস্ক যেন তিনি একা ব্যবহার করতে পারেন। একান্ত সামাজিক দায় বাদ দিলে মিলেভা ভুলে যাবেন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক। তিনি বাড়িতে স্বামীর পাশে বসবেন না, স্বামীর সঙ্গে কোথাও যাবেন না, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে মিলেভাকে মনে রাখতে হবে যে, তিনি স্বামীর নৈকট্য আশা করবেন না, স্বামীকে ভর্ৎসনাও করবেন না। আইনস্টাইন বলা মাত্র মিলেভা তাঁর সঙ্গে কথা বলা থামাবেন। বলা মাত্র মিলেভা বেরিয়ে যাবেন বেড রুম বা পড়ার ঘর থেকে, সন্তানদের সামনে মিলেভা কথায় বা আচরণে আইনস্টাইনকে হেয় করবেন না।

দাম্পত্যে এমন সব শর্ত আরোপ করলে তা টেকে? কয়েক মাস সহ্য করার পর দুই ছেলে নিয়ে মিলেভা বার্লিন ছেড়ে চলে গেলেন জুরিখ। আর ফিরলেন না আইনস্টাইনের জীবনে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আইনস্টাইন ডিভোর্স পেলেন ১৯১৯ সালে।

এবং দ্বিতীয় বিয়ে করলেন ডিভোর্স পাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। পাত্রী আইনস্টাইনের মাসতুতো বোন। এলজা। বাল্যে যার সঙ্গে ঘণিষ্ঠতা ছিল আইনস্টাইনের। অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল এলজার। দুই মেয়ে জন্মানোর পর তাঁরও ডিভোর্স হয় স্বামীর সঙ্গে। মিলেভার সঙ্গে ডিভোর্সের আগে যখন সম্পর্ক আর নেই, তখনই আইনস্টাইনের জীবনে নতুন করে এলজার প্রবেশ। এবং ডিভোর্স পেয়েই তাঁকে বিয়ে করে ফেলেন। কিন্তু এই দ্বিতীয় বিয়ের মধ্যেও যে ঘোঁট। এখন জানা গেছে এলজার পাশাপাশি তাঁর বড় মেয়ে ইলজে-র সঙ্গে প্রেমপর্ব চলছিল আইনস্টাইনের। এতটাই যে, মায়ের বদলে মেয়েকেও বিয়ে করতে রাজি ছিলেন তিনি! এ হেন স্বামী কিংবা প্রেমিককে কী বলবেন নারীবাদীরা?

গবেষণা এবং নারী— আইনস্টাইনের এ দুই প্রেম নিয়ে আস্ত একখানি বই লিখেছেন ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার একদা বিজ্ঞান সম্পাদক ডেনিস ওভারবি। ‘আইনস্টান ইন লভ: আ সায়েন্টিফিক রোমান্স’। দেখা হতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ‘মানুষ আইনস্টাইনকে কেমন বলবেন আপনি’? ওভারবি-র তির্যক জবাব ছিল, ‘এমন একজন, যার সঙ্গে নিজের বোনের আলাপ করিয়ে দিতে একটু ভয় পেতাম।’

তা সে যা-ই বলুন নারীবাদীরা, যা-ই বলুন ওভারবি, আইনস্টাইনের দিকে তাকিয়ে বিস্ময় ছাড়া কিছুই জাগে না আমাদের মনে। ব্যক্তিগত জীবনে এত তোলপাড় নিয়ে ও রকম দুরূহ গবেষণায় ডুবে থাকা! ভাবা যায়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

pathik guha einstein
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE