চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র।
হাইভোল্টেজ ভোট বৃহস্পতিবার মালদহে। অষ্টম পর্বে জেলার ৬টি কেন্দ্রে ভোট। তাই নির্বাচন দফতরের ব্যস্ততা তুঙ্গে। ইংরেজবাজার, মানিকচক, সুজাপুর, মালদহ, মোথাবাড়ি ও বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে ভোট। তার মধ্যে প্রাক্তন তিন মন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবিএ গণি খান চৌধুরীর মিথ আজও অক্ষুণ্ণ রয়েছে কি না, সেই ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে অষ্টম দফার ভোট। ২০১৬ সালে সকলকে অবাক করে রাজ্যে প্রথম পদ্মফুল ফুটেছিল যে বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে, বৃহস্পতি সেখানেও ভোট। ফলে সব রাজনৈতিক দলের কাছেই বৃহস্পতিবার বড় চ্যালেঞ্জ।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ছয় কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোটকে পিছনে ফেলে বিজেপি চার কেন্দ্রে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিল। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফলই তাঁরা ধরে রাখতে পারবেন। জেলা বিজেপি-র সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল জানান, এই ৬ কেন্দ্রে বিজেপি-র সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সে কারণেই নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতৃত্বের এক বড় অংশ বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন।’’
জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা ইংরেজবাজারের প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর মতে পরিস্থিতি বদল হয়েছে অনেকটাই। তাঁ কথায়, ‘‘বিজেপি-র শাসনে আমজনতা নাজেহাল। পদ্ম ফুলে চলে যাওয়া ভোটার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক লড়াইয়ের মানসিকতাকে স্যালুট জানিয়ে জোড়া ফুল চিহ্নের উপর ভরসা রাখবেন।’’
অন্য দিকে, প্রয়াত এবিএ গণি খান চৌধুরীর কোতুয়ালির বাড়ির সদস্য ঈষা খান চৌধুরীর আশা, ‘‘মালদহের মানুষ মামার উপরই বিগত দিনে আস্থা রেখেছেন। আগামী দিনেও রাখবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy