ভোট গণনার আগে চলছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। নিজস্ব চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের গণনা আগামী রবিবার। তবে অতিমারির আবহে অতিরিক্ত সতর্কতা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ, গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে গেলে অবশ্যই হাতে থাকতে হবে ২টি কোভিড টিকা নেওয়ার শংসাপত্র অথবা সরকারি ভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট-এর নেগেটিভ রিপোর্ট। অন্যথায় কাউকেই গণনাকেন্দ্রের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর পরেই কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জোরদার তৎপরতা। জেলার নির্বাচন আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসকের দফতর থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দল-সহ নির্বাচনের কাজে যুক্ত ব্যক্তি এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শনিবারের মধ্যে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গিয়ে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট-এর রিপোর্ট নেওয়ার জন্য। গণনাকেন্দ্রের পাশ থাকলে সেই ব্যক্তিকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বিশেষ প্রাধান্য’ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
এর পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁর একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে প্রত্যেকটি রিপোর্টের কপি সই-সহ রাজনৈতিক দলের কর্মী, প্রার্থী ও গণনাকেন্দ্রের কাজে যুক্তদের দিতে হবে। বিস্তারিত টেস্ট রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দফতরেও পাঠাতে হবে। এর মধ্যে কারও রিপোর্ট পজিটিভ এলে, তা বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। ওই নির্দেশিকা জানাচ্ছে, গণনার দিনও পূর্ব মেদিনীপুরের ৫টি গণনাকেন্দ্রের পাশে একটি করে ক্যাম্প খুলে রাখা হবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট-এর জন্য। সকাল ৬.৩০টা থেকে এই ক্যাম্প চালু থাকবে বলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন গণনাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং রাজনৈতিক শিবিরের প্রতিনিধিরা। স্বাস্থ্যকর্মীরাও দ্রুততার সঙ্গে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে টিকার অপ্রতুলতার জন্য নতুন করে কোনও ব্যক্তিকে প্রথম কোভিড টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এখন কেবলমাত্র দ্বিতীয় টিকাই দেওয়া হচ্ছে। তারই মাঝে ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককেই টিকা দেওয়া হবে ঘোষণা হলেও এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত টিকার জোগান নেই বলেই সরকারি সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy