বারাসতে আহত তৃণমূল নেতা। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল এবং বিজেপি-র সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ গরগনা জেলার বারাসত শহর। তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের সামনে বিজেপি-র ব্যানার রাখা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বচসা বাধে ২ দলের সমর্থকদের মধ্যে। সেই বচসা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সংঘর্ষের আকার নেয়। বারাসতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৭ কাঠা এলাকার এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিকও। মাথার গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিতের সমর্থনে দেওয়াল লিখনের ঠিক পাশেই বিজেপি প্রার্থী শংকর চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি ব্যানার লাগান বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা সেই ব্যানার নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তৃণমূলের দেওয়াল লিখন আংশিক ঢেকে যাচ্ছে বিজেপি-র ব্যানারে। তা নিয়েই ২ দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। সেই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজেপি কর্মীদের অনুরোধ করেন ব্যানার দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। বিজেপি-র এক কর্মীকে চড় মারতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর বিজেপি কর্মী এসে জড়ো হন সেখানে। অভিযোগ, তার পরই বাঁশ, লাঠি, র়ড নিয়ে বিজেপি কর্মীরা ঝাপিয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীদের উপর। এবং মারধর শুরু করেন। সে সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের কর্মীরা। অরুণ ভৌমিক ছাড়াও এই ঘটনায় রহমত আলি, মুশারফ গাজি-সহ অন্তত ৮ তৃণমূলের কর্মী আহত হয়েছেন। রাতেই তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছিল যশোর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা করা হয়েছে আহতদের।
তৃণমূল শহর কংগ্রেসের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতেই বেসরকারি হাসপাতালে আসেন অরুণ ভৌমিক-সহ আহত কর্মীদের দেখতে। তিনি বলেছেন, ‘‘শতাধিক বিজেপি কর্মী দু’দিক থেকে জড়ো হয়ে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে বারাসত থানার পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও অল্প সংখ্যক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন এবং নিষ্ক্রিয় ছিলেন।’’ নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy